1. সোনা শব্দটি “gold” “geolu,” পুরানো ইংরেজী শব্দ “geolu” থেকে এসেছে, যার অর্থ হলুদ।
2. পৃথিবীতে আজ অব্ধি যত সোনা খনন করা হয়েছে, প্রতিদিন প্রতি ঘন্টায় তার থেকে বেশি ইস্পাত তৈরি করা হয়।
3. প্রায় 161,000 টন সোনা এখনও অব্ধি মানুষের দ্বারা খনন করা গেছে।
4. পৃথিবীর সাত মহাদেশের নীচেই সোনার সন্ধান মেলে।
5. এটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রায় 80% পৃথিবীর সোনা এখনও ভূগর্ভস্থই রয়ে গেছে, মানে আজ অব্ধি মানুষ পৃথিবীর মাত্র ২০% সোনা খনন করতে পেড়েছে।
6. মহাসাগরগুলির নিচে এখনও চাপা পড়ে থাকা সোনার পরিমাণ 10 বিলিয়ন টন, সমুদ্রতলের প্রতিটি কিউবিক মাইলে পাওয়া যাবে প্রায় 25 টন সোনা
7. ২০১০ সালের মে মাসে বিশ্বের প্রথম সোনার ভেন্ডিং মেশিন আবু-ধাবীর একটি অতি-বিলাসবহুল হোটেলে বসানো হয়, আর সেই ভেন্ডিং মেশিনটিও তৈরি ২4-ক্যারেট সোনা দিয়ে।
8. অ্যালকেমিস্টরা বিশ্বাস করেন যে তারা সাধারণ যেকোনো ধাতুকে রাসায়নিক উপায়ে সোনায় রূপান্তরিত করতে পারেন।
9. ক্যারেট শব্দটি আসলে এসেছে ভর এর পরিমাপ থেকে, প্রাচীন ব্যবসায়ীরা carob বীজের ওজন এর উপর ভিত্তি করে পরিমাপ করত।
10. Elvis Presley-র সংগ্রহে তিনটি গাড়ি প্রস্তুত করেছিল Stutz Motor Company , যেখানে ক্রোমের প্রতিটি অংশকে সোনার মোড়কে বানানো হয়।
11. সোনায় জং বা দাগ ধরে না করে এবং হাওয়ার আদ্রতায় এর গায়ে কোনো অক্সাইড ফিল্ম তৈরি হয়না
12. পৃথিবীর ভূগর্ভে ৯২ টি প্রাকৃতিক উপাদান পাওয়া যায় এর ভেতর বিরলতার দিক দিয়ে সোনা ৫৮ তম।
13. সোনার জন্য রাসায়নিক প্রতীক Au, যা ল্যাটিন শব্দ “অরাম” থেকে উদ্ভূত হয়, যার মানে “উজ্জ্বল আলোক ” যা “Aura” শব্দ থেকে।
14. সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ সোনা এত নমনীয় যে এটি হাত দিয়ে সহজেই বেঁকিয়ে ফেলা যায়।
15. সোনার গলনাঙ্ক 2,063 ডিগ্রি ফারেনহাইট অর্থাৎ 1129 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ।
16. সোনার মাত্র 1 ounce = 28.33 gm এর একটি খণ্ডকে চ্যাপ্টা করে 100 স্কোয়ার ফুটের একটি শীট পাওয়া যেতে পারে। ঠিক ওইটুকু সোনা দিয়েই একটি তার বানানো যেতে পারে যার দৈর্ঘ্য ৬০ মাইল হবে ।
17. South Africa সোনার সব থেকে বেশী রপ্তানিকারক দেশ, এখানে পৃথিবীর মোট সোনার ২/৩ অংশ সোনা উৎপাদিত হয়।
18. ভারত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সোনা আমদানি কারক দেশ।
19. এখনও পৃথিবীর বৃহত্তম ন্যাগেট অস্ট্রেলিয়ায় 1980 সালে পাওয়া যায় যার নাম দেওয়া হয় “বিশ্বাসের হাত”। 27.5Kg র সোনার টুকরোটি বর্তমানে লাস ভেগাসের গোল্ডেন ন্যাগেট ক্যাসিনোর প্রদর্শনীতে রয়েছে।
20. বিশুদ্ধ সোনা মানুষের ত্বকে কনও বিক্রিয়া বা তীব্রতা সৃষ্টি করে না।
21. রিমিটয়েড আর্থ্রাইটিসের কিছু রোগীদের ব্যথা দূর করতে তরল সোনার ইনজেকশন দেওয়া হয় ।
22. অলিম্পিক পদক 1912 পর্যন্ত বিশুদ্ধ সোনার তৈরি ছিল।
23. দক্ষিণ এশীয় জুয়েলারী সাধারণত পশ্চিমী গয়নার (১৪ ক্যারেট) তুলনায় বিশুদ্ধ, ২২ক্যারেট সোনায় গঠিত।
24. সোনা ক্যালিফোর্নিয়া এবং আলাস্কার জাতীয় খনিজ পদার্থ।
25. বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে মঙ্গল, বুধ এবং শুক্র গ্রহে সোনা পাওয়া যেতে পারে।
26. মহাকাশচারীদের হেলমেটস সোনা (.000002 ইঞ্চি) এর খুব পাতলা, স্বচ্ছ স্তর দিয়ে প্রলিপ্ত করা হয় যা সূর্যালোক থেকে রক্ষা করে এবং তাপমাত্রা কমায়।
27. প্রমাণ পাওয়া যায় যে প্রায় 5000 খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সোনা ও তামা মানুষ দ্বারা আবিষ্কৃত প্রথম ধাতু ।
28. লুডিয়া রাজা ক্রোসাস 540 খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথম বিশুদ্ধ সোনার কয়েন প্রচলন করেন।