Home আপডেট Guideline for Toto: টোটো নিয়ন্ত্রণে তৈরি করতে হবে গাইডলাইন, পরিবহণ দফতরকে নির্দেশ হাইকোর্টের

Guideline for Toto: টোটো নিয়ন্ত্রণে তৈরি করতে হবে গাইডলাইন, পরিবহণ দফতরকে নির্দেশ হাইকোর্টের

Guideline for Toto: টোটো নিয়ন্ত্রণে তৈরি করতে হবে গাইডলাইন, পরিবহণ দফতরকে নির্দেশ হাইকোর্টের

[ad_1]

রাস্তায় টোটো বাড়ার ফলে যানজট বাড়ছে। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনাও বাড়ছে। এ নিয়ে কড়াকড়ি আগেই শুরু করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। টোটো, ই রিকশা নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই রাজ্য এবং জাতীয় সড়কের উপর টোটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পরিবহণ দফতর। এবার টোটো নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য পরিবহণ দফতরকে গাইড লাইন তৈরি করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বসিরহাট পুরসভায় টোটো নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: তিনদিনে ২০০ টোটো আটক করল পুলিশ, হাওড়ায় এমন ঘটনার নেপথ্য কারণ কী?‌

জানা গিয়েছে, বসিরহাট পুরসভা এলাকায় প্রায় ৫ হাজার টোটো রয়েছে। এর ফলে বসিরহাটে যানজট এবং দুর্ঘটনা বাড়ছে। তাই টোটো নিয়ন্ত্রণের জন্য সম্প্রতি বসিরহাট পুরসভার তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে জানানো হয়, রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৫০০ টাকা করে দিতে হবে। এছাড়া নতুন গাড়ি নামানোর ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু নির্দেশ জারি করে বসিরহাট পুরসভা। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বসিরহাট পুরসভার ১৪০ জন টোটো চালক। পুরসভার তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, অনিয়ন্ত্রিতভাবে টোটো চলার ফলে শহরে যানজটের সমস্যা হচ্ছিল। তাছাড়া দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও ছিল। সেই কারণে টোটো নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। যদিও সেই নির্দেশে মান্যতা দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দেন, পুরসভা এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করতে পারে না। এর জন্য পরিবহণ দফতরকে গাইডলাইন তৈরি করতে হবে।

উল্লেখ্য, শুধু অনিয়ন্ত্রিত টোটোই নয়, বেআইনিভাবে লেদ কারখানা এবং গ্যারেজে লোহার ধাঁচ তৈরি করে তাতে মোটর লাগিয়ে টোটো হিসেবে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। অথচ টোটো তৈরির জন্য এই সমস্ত কারখানার কাছে কোনও অনুমোদন নেই। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ৭টি সংস্থাকেই টোটো তৈরির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু তারপরেও এভাবেই তৈরি হচ্ছে বেআইনি টোটো, যার ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। 

সাধারণত বহু বেকার যুবক আয়ের জন্য টোটো, ই–রিকশাকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ একবার ব্যাটারি চার্জ করলে এই যানে যাত্রী বহন করা সম্ভব কোনও খরচ ছাড়াই। তাই বেশি আয়ের লক্ষ্যে টোটো কিনছেন বহু মানুষ। পরিবহণ দফতরের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যে প্রতিদিন প্রায় ৭ লক্ষ টোটো, ই–রিকশা চলে। ফলে রাজ্যের সর্বত্রই টোটো, ই–রিকশার রমরমা। পরিবহণ দফতরও এই সমস্ত যান চলার ক্ষেত্রে একটা শৃঙ্খলা এবং নিয়ন্ত্রণ আনতে চায়ছে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here