HomeবিদেশIran-China-Us: ইরান-চীনের তেল ব্যবসায়...

Iran-China-Us: ইরান-চীনের তেল ব্যবসায় দারুণ ফন্দি, বোকা বনে গেল যুক্তরাষ্ট্র!


 

Iran-China-Us: মধ্যপ্রাচ্যকে কব্জা করতে চাইছে চীন। প্রথম টার্গেট তাই ইরান। ইরান-চীনের বন্ধুত্ব দেখেও কিচ্ছু করতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। তেহরান আর বেজিংয়ের মাঝে ম্যাজিক ফিগার হয়ে দাঁড়িয়েছে তেল অর্থনীতি। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, এমন স্ট্যাটিজিতে দুই দেশ বাণিজ্য করছে, জানলে হতবাক হবেন। বোকা বনে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন-ইরানের ফন্দি ধরেও যেন ধরতে পারছে না। মধ্যপ্রাচ্যে তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে যাবে চীন? ইরানের পাশে চীন আছে বলেই, স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে তেহরান।

 

গোটা মধ্যপ্রাচ্য যখন উত্তপ্ত, ইরানের সাথে বাণিজ্যের যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন তেল কিনছে ইরান থেকে। ইরানের তেলের উপর হাজারো নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, তার কোন এফেক্টই পড়েনি তেহরানের উপর। অথচ এই তেলের উপর নির্ভর করে আছে দেশটার অর্থনীতি। কোন সিক্রেটে তেহরান নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়িয়ে যাচ্ছে? কূটনৈতিক মহল বলছে, এর অন্যতম কারণ চীন। শি জিনপিং যদি শক্ত হাতে ইরানের পাশে না থাকতেন, তাহলে ইরান কোনভাবেই নিষেধাজ্ঞা পাহাড় মোকাবিলা করতে পারত না। যুক্তরাষ্ট্রকে জব্দ করতে আর মধ্যপ্রাচ্যে নিজের জায়গা পাকা করতে, চীনের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ইরান। ওদিকে ইরানও নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থে নিজের মাটিতে বেইজিং এর জন্য বেশি সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছে।

 

এইতো, গত এপ্রিল মাসে, ইরান যখন ইসরাইয়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ৩০০ এর বেশি মিসাইল আর ড্রোন হামলা চালায়, তখন কিন্তু দেশটার তেল রপ্তানির উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এর আগেও একাধিক নিষেধাজ্ঞার মুখে ছিল তেহরান। কিন্তু ইরানের তেল রপ্তানির পরিমাণ শুনলে একটু অবাক হতে হয়। ২০২৪ সালে ৪ মাসে তেহরান তেল রপ্তানি করেছে ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রায়। যার পরিমাণ নয় নয় করে প্রায় ৩৫.৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার। তাহলে বুঝতে পারছেন, ইরানে তেল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞার কোন এফেক্ট পড়েনি। বরং সুচারুভাবে এড়িয়ে চলছে যুক্তরাষ্ট্রের মোড়লগিরি। মনে করা হচ্ছে, চীন যদি ইরানের পাশে না থাকত তাহলে এই কাজ এতটা সহজসাধ্য হত না। মুখ থুবড়ে পড়ত ইরানের তেল ভিত্তিক অর্থনীতি। যার পুরো সিক্রেটটাই লুকিয়ে রয়েছে চীনের বাণিজ্যিক কৌশলের উপর। ইরান বিশ্বে যত পরিমান তেল রপ্তানি করে তার ৮০ শতাংশই শুধু যায় চীনে। প্রতিদিন ইরান প্রায় দেড় মিলিয়ন ব্যারেল তেল চীনে রপ্তানি করে থাকে। এখানে বেজিংয়েরও স্বার্থ কম নেই । ভূ রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজির কথায় পড়ে আসছি।

 

যেহেতু ইরানের তেল মানে ভালো ,আর দামের সস্তা। তাই ইরানের তেলের চাহিদাও বেশি। ওদিকে বেইজিং আর তেহরানের সম্পর্ক অত্যন্ত গাঢ়। তাই চীনের কাছে তেল কেনার ক্ষেত্রে ফার্স্ট অপশন এখন ইরান। ইরানের সাথে বাণিজ্যের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সেসব দিকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দেন না শি জিনপিং। তার উপর আন্তর্জাতিক সংঘর্ষের কারণে যখন গোটা বিশ্বে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী, ঠিক সেই সময় ইরান তার তেল বিক্রি করতে মরিয়া। বরং অন্যদের তুলনায় একটু কম দামেই তেল বিক্রি করে। হিসাব করলে, ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে ইরান, রাশিয়া আর ভেনেজুয়েলা থেকে থেকে তেল কিনে চীন অন্তত লাভ করেছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার। সাধারণত বৈশ্বিক মানদণ্ডে, অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের নিচে থাকে। কিন্তু ইরান তাদের তেল ব্যারেল প্রতি বিক্রি করে তার থেকে অন্তত পাঁচ ডলার কমে। শুধু তাই নয়, গত বছর এই দাম সর্বোচ্চ কমিয়েছিল। আসলে পুরোটাই ভূরাজনৈতিক স্বার্থ। তাই তো আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের মতে, চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তলে তলে যে বিরোধের খেলা চলছে তারই একটা অংশ হয়ে উঠেছে ইরান।

 

একদিকে বেজিং তেহরানের অর্থনীতিতে সাহায্য করছে, অপরদিকে মধ্যপ্রাচ্যে পাকা করছেন নিজের জায়গা। আর এর মাধ্যমেই ভূরাজনৈতিক এবং সামরিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে ওয়াশিংটনের দিকে। ইসরায়েল আর ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মাঝে, এমন পদক্ষেপ কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বহু আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে, বিগত কয়েক বছর ধরেই চীন আর ইরান এই নিষিদ্ধ তেল আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে একটা সূক্ষ্ম পদ্ধতি অনুসরণ করছে। যেখানে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় ছোট স্বাধীন রিফাইনারিজ, চীনের আঞ্চলিক ব্যাংক আর ডার্ক ফ্লিট ট্যাঙ্কারস। মূলত আন্তর্জাতিক ভাবেই যাদের পরিচিতি অত্যন্ত নগণ্য। এই সমস্ত জায়গার মাধ্যমে লেনদেন করলে কিংবা ইরানের তেল পরিশোধন করা হলে নানান সুবিধা থাকে। ঝুঁকিও বেশ কম।

 

আরে একটু আগে যে বললাম, ডার্ক ফ্লিটের কথা, এটা মূলত একটা অস্পষ্ট মালিকানা ধরনের ট্যাঙ্কারস নেটওয়ার্ক। বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তেলের ট্যাঙ্কার গুলো সমুদ্রে ট্র্যাক করা হয়ে থাকে। তার জন্য ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন সফটওয়্যার। ট্র্যাকিং এড়ানোর জন্যই ইরান আর চীন ব্যবহার করে এই ধরনের অস্পষ্ট মালিকানার নেটওয়ার্ক। যার ফলে তারা খুব সহজেই এড়িয়ে যায় সিপিং চার্জ। ধুলো দিতে পারে পশ্চিমাদের চোখে। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তেই হয় না। অপরদিকে পশ্চিমাদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক লেনদেন পদ্ধতির ক্ষেত্রে চীন আর ইরান ব্যবহার করে ক্ষুদ্র চাইনিজ কিছু ব্যাংক। কারণ যেহেতু ইরানের তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে যদি চীন তেল কেনে তাহলে তো ঝুঁকি থাকবেই। বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকে লেনদেন করলে ফেঁসে যেতে পারে বেজিং। তাই যেসব এমন সব ব্যাংক ব্যবহার করে, যাদের আন্তর্জাতিক কোন পরিচিতি নেই। শুধু তাই নয়, ইরানের তেলের জন্য চীন ডলারই নয়, অর্থ পরিশোধ করে চাইনিজ মুদ্রায়।

 

বর্তমানে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলো সংগঠন ওপেকে ইরান তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশ। প্রতিদিন প্রায় তিন মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপন্ন করে। যা সারা পৃথিবীর তেলের প্রায় ৩ শতাংশ। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, ইরানের তেল উৎপাদন কিংবা পরিবহনে যদি কোন রকম বড়সড় ধাক্কা লাগে, তাহলে কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে তেলের দাম বেড়ে যাওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। হয়ত বা জো বাইডেনও জানেন, ইরানের তেল রপ্তানি হঠাৎ করে কমে গেলে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ কমে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে তেলের দাম। আর তার এফেক্ট পড়বে যুক্তরাষ্ট্রেও। তাই হয়তো চীন আর ইরান কোন পথে তেলের লেনদেন করছে বা ব্যবসায়িক পদ্ধতি জারি রেখেছে, সেই দিকে ইচ্ছাকৃত কড়া নজর রাখছে না ওয়াশিংটন। এমনটাই ধারণা কূটনৈতিক মহলের।

 

আর তাই হয়তো, এত সহজেই ওয়াশিংটনকে ফাঁকি দিতে পারে বেজিং। গত বছরের রিপোর্ট বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও কিন্তু তেলের উৎপাদন বাড়ছে ইরানে। পাশাপাশি বাড়ছে তেল বিক্রির পরিমাণ। গত বছর চীনের জ্বালানি তেল কেনার পরিমান পৌঁছেছে রেকর্ড পর্যায়ে। ইরানের তেল ব্যবসায় লাগাম টানতে, বিশ্বের যেসব বন্দর এবং পরিশোধনাগারে ইরানের তেল প্রক্রিয়াজাত করে তাদের ব্যবস্থা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নতুন আইন প্রণয়নেরও চিন্তা করতে থাকে ওয়াশিংটন। আর এইসবের মাঝে ২০২৩ এর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর, পর্যন্ত চীন ইরানের থেকে দৈনিক গড়ে তেল আমদানি করেছে প্রায় ১০ লক্ষ ৫ হাজার ব্যারেল।

 

এখন চীন হল ইরানের তেলের সবচেয়ে বড় গ্রাহক। ২০১৭ সালে ইরানের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসার আগের সময়ের থেকে চীন এখন আমদানি করে প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের পর চীন ইরানের থেকে তেল কেনেনি বলে কাগজপত্র দেখায়। আসলে কি বলুন তো, ইরানের যত তেল চীনে আসে তার সবটাই মালয়েশিয়া কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আসে বলে দাবি করে বেজিং। যার মূলে রয়েছে, সেই নাম গোত্রহীন ডার্ক ফ্লিট। ২০২১ সালের পর ইরানের পেট্রোলিয়ামের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় ১৮০ টি প্রতিষ্ঠান আর ৪০টি জাহাজের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তেহরান আর বেজিংয়ের মধ্যে তেল রপ্তানি কিংবা আমদানিতে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি।

 

আসলে তেহরানের সাথে সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে, বেজিংয়ের মূল নজর গোটা মধ্যপ্রাচ্যের দিকে। বছর তিনেক আগে, চীন আর ইরানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে একটি চুক্তি। যে চুক্তির মাধ্যমে আগামী ২৫ বছর দু দেশের মধ্যে বজায় থাকবে কৌশলগত অংশীদারিত্ব। মূলত এটি চীনের সুবিস্তৃত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিসিয়েটিভ কর্মসূচিতে সর্বশেষ সংযোজন। বিশ্বশক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া চীন। আর সেখানে একটা শক্ত খুঁটি হিসেবে কাজ করছে ইরান। ইরান কিন্তু চীনের থেকে চীনের তুলনায় ছোট একটা দেশ। কিন্তু বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। এছাড়াও দেশটার এছাড়াও ইরানের প্রতিবাদী বৈদেশিক নীতির কারণে আলাদা একটা স্বকীয়তা রয়েছে। যা বেজিংয়ের পছন্দের অন্যতম কারণ। চীন নিজেকে একবিংশ শতাব্দী আর পরবর্তী বিশ্বের একটা উদীয়মান শক্তি হিসেবে মনে করে। বিশ্বাস করে, হয়ত একদিন দীর্ঘমেয়াদি যুক্তরাষ্ট্রের পতন হবে। আর সেই জায়গায় রাজ করবে চীন।

 

এমত পরিস্থিতিতে, যে শক্তিধর রাষ্ট্র আসুক না কেন, সেই রাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে পারেনা। আর এই সহজ ইকুয়েশনটাই বুঝে গিয়েছে বেজিং। ইরানের মাধ্যমে উপসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা নিতে চাইছে দেশটা। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে ফিলিস্তিন- ইসরায়েল সম্পর্ক, ইরানের পরমাণু চুক্তি এবং এই এলাকায় সুরক্ষা কাঠামো গড়ে তুলে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চীন পিপলস লিবারেশন আর্মির মাধ্যমে লোহিত সাগরের প্রথম বৈদেশিক সামরিক ঘাঁটি গড়েও তুলেছে, যেটি পড়েছে জিবুতিতে। উপসাগরীয় অঞ্চলকে নিজের হ্রদ বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিং সেখানেই যেন আঁকতে চায় নিজের নৌবাহিনীর পদচিহ্ন। যার সঙ্গ দিচ্ছে ইরান।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়



খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

- A word from our sponsors -

spot_img

Most Popular

আরও খবর...

- A word from our sponsors -

spot_img

সব খবর...

পঞ্চম দফার ভোট শুরু আগেই বাজেয়াপ্ত ৮৮৮৯ কোটি টাকা! মাদক ও নগদ টাকা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

নয়াদিল্লি: সোমবার (২০ মে, ২০২৪) লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। শুরু থেকেই নির্বাচনের সময় ভোটারদের আকৃষ্ট করতে অর্থশক্তির ব্যবহার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ধারাবহিক পদক্ষেপে লোকসভা নির্বাচনের সময় অবৈধ অর্থ ও মাদক উদ্ধারের রেকর্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপে ৮৮৮৯ কোটি টাকা...

NIA in Purba Medinipur: ভোটের মধ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি, BJP কর্মী খুনের তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুরে NIA

ভোটের মধ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এর আগের দিন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। আর এবার বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের মামলায় তৎপর হল এনআইএ। আজ শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় পৌঁছন এনআইএ’র তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই মামলায় আগেই এনআইএকে...

Srijan Bhattachariya: পাটুলিতে ক্যানসার আক্রান্ত সিপিএম কর্মীকে মারধর, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও সৃজনের

ভোটের আগে যাদবপুর কেন্দ্রে এক সিপিএম কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, যে সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয়েছে তিনি ক্যানসার আক্রান্ত। এনিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অবরোধের পাশাপাশি থানা ঘেরাও করে সিপিএম। তাতে...

Sayantika Banerjee: জয়ী হলে মেয়েদের জন্য ‘সম্পূর্ণা’ চালু করবেন, আর কী আশ্বাস তৃণমূলের সায়ন্তিকার

দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে চারটি দফার ভোট শেষ হয়েছে। এখনও তিনটি দফার ভোট বাকি রয়েছে। তবে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই উপনির্বাচন হচ্ছে বাংলার দুটি বিধানসভা আসনে। একটি হল ভগবানগোলা এবং অন্যটি হল বরানগর। ভগবানগোলায় উপনির্বাচন হয়ে গেলেও বরানগরে উপনির্বাচন হবে ১ জুন। এই কেন্দ্রে...

DM bunglow seizure order: জমি অধিগ্রহণের পরেও মালিককে দাম মেটানো হয়নি, DM-র বাংলো বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ

আদালতের নির্দেশ ছিল জমি অধিগ্রহণের জন্য দাম মেটাতে হবে। কিন্তু, সেই নির্দেশ বারবার অমান্য করেছে জেলা প্রশাসন। সেই সংক্রান্ত মামলায় নজিরবিহীন নির্দেশ দিল পূর্ব বর্ধমানের জেলা ও দায়রা আদালত। অধিগ্রহণ হওয়া জমির দাম না মেটানোর জন্য পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসকের বাংলো বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ...

China-Russia relations: চীন-রাশিয়ার জোটে নাজেহাল যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বে মোড়লগিরির দিন শেষ

  China-Russia relations: যুক্তরাষ্ট্র যখন ইরানের চক্ষুশূল, মধ্যপ্রাচ্যে নিজের জায়গা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, ঠিক তখন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে হাজির আরো বড় বিপদ। একে অপরকে জড়িয়ে ধরছে রাশিয়া আর চীনের রাষ্ট্রপ্রধান। আর তাতেই যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে কালো মেঘ। বিষয়টাকে সামনাসামনি তাচ্ছিল্য করলেও, যুক্তরাষ্ট্র বুঝে গিয়েছে, ভূ রাজনীতিতে পিঠ থেকে যাচ্ছে...

Mampi Das: ‘পিসি-ভাইপোকে ছাড়ব না…হারিয়ে দেখাব,’ জেল থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক সন্দেশখালির মাম্পি

অবশেষে জেল থেকে মুক্তি পেলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাস। আর জেল থেকে বেরিয়ে মাম্পি কী বলেন সেদিকে নজর ছিল অনেকেরই। আর দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে শনিবার মুক্তি পেয়েই তিনি বলেন, সত্যমেব জয়তে। এরপরই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করে একের পর তির ছুঁড়তে...

Israel–Hamas war: হামাস হারলে বিপদে তুরষ্ক, অপরাধ করেও ছাড় পেয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল?

  Israel–Hamas war: হামাস হারলে ইসরায়েলের নেক্সট টার্গেট তুরস্ক। আশঙ্কা এরদোয়ানের। গাজা হামলা নিয়ে নাকি ইসরায়েলের নামে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। যে অভিযোগ এসেছে তা নাকি সবটা ঠিক নয়। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের(আইসিজে) কাঠগোড়ায় ইসরায়েলের বয়ান শুনে হতবাক বিশ্ব। গত সাত মাস ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় বেসামরিক মানুষের...

Jyotipriyo Mallick: অন্তত এক-দেড় মাসের জন্য জামিন দিন, কাতর আবেদন জ্যোতিপ্রিয়র. কারণটাও জানালেন

জামিন পেতে একেবারে মরিয়া প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু জামিন পাওয়ার জন্য তিনি বার বার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর। শনিবারও ইডির বিশেষ আদালতে জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী আবেদন করেন বাইরে তাঁর চিকিৎসা করাতে হবে। অন্তত ১ থেকে দেড়...

Mamata on Ramkrishna Mission: ভারত সেবা সংঘের মহারাজকে আক্রমণ মমতার, BJP-কে তোপ দেগে দুষলেন ১ রামকৃষ্ণ মিশনকেও

ভারত সেবা সংঘের মহারাজকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধেও উষ্মাপ্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো। শনিবার আরামবাগের গোঘাটার জনসভা থেকে মমতা দাবি করেন, ভারত সেবা সংঘের যে মহারাজের কথা বলছেন, তিনি তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেবেন না বলেছিলেন। সেই...

কেএমডিএ–হিডকো’‌কে শোকজ করল পরিবেশ আদালত, চাপ বাড়ল রাজ্য সরকারের

পঞ্চম দফার ভোটের প্রস্তুতির মধ্যেই এবার তাল কাটল। কারণ আগামী ২০ মে বাংলায় পঞ্চম দফার নির্বাচন রয়েছে। ওইদিনে বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, হুগলি, শ্রীরামপুর এবং আরামবাগে ভোটগ্রহণ হবে। এই আবহে আবার পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে জরিমানা ও শাস্তির মুখে পড়ল রাজ্য সরকারের অধীনস্থ দুটি সংস্থা।...

Bus accident in Uttar Dinajpur:সাতসকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! জাতীয় সড়কে উলটে গেল সরকারি ভলভো, মৃত ২, আহত ২০

সাতসকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! জাতীয় সড়কে উলটে গেল শিলিগুড়িগামী সরকারি ভলভো বাস। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ যাত্রীর। এছাড়াও, জখম হয়েছেন ১৫ থেকে ২০ জন। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থানার মনোরা এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে...