[ad_1]
জলপাইগুড়ি: বর্ষায় বৃষ্টির জল ঝাপটা মারছে চোখে মুখে, তবুও কমছে না রাস্তার পাশে খদ্দের নিয়ে চলার ব্যস্ততা। সন্ধে হলেই শহর জলপাইগুড়ির শান্তিপাড়া এলাকায় পথের ধারে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই ক্রমশ ভিড় বাড়তে থাকে চিজ মোমো, তন্দুরি মোমো, চিকেন মোমোপ্রেমীদের সংখ্যা।
শহরে মোমো নতুন নয়, তবে এই মোমোজ অন হুইলসের আয়োজনে রয়েছে নিত্যনতুন স্বাদের সম্ভার। ক্রেতাদের হাতে মোমো তুলে দেওয়ার ফাঁকেই এই নতুন উদ্যোগের কারিগর পেশায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘সাগরের নীল জলে ভেসে পৃথিবীর ৭২ টি দেশ ছুঁয়েছি, এর পর ছেড়েছি চাকরি। শুরু করেছি নিজের উদ্যোগে প্রাণীদের ওষুধ তৈরির প্রজেক্ট, এবার দ্বিতীয় উদ্যোগ শুরু করেছি।’
দোকানের মালকিন
আরও পড়ুন: সব ভোটকর্মীর ব্যাগে কার্বলিক অ্যাসিড ঢুকিয়ে দিচ্ছে কমিশন, কারণ জানলে চমকে যাবেন!
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্ম আজও শুধুই খুঁজে বেড়ায় একটি চাকরি। আসলে এর জন্য হয়তো দায়ী আমাদের বড় হয়ে ওঠার সময়কার কিছু পাঠ। শিক্ষক সদাই বলেছেন, ভাল পড়াশোনা করলে ভাল চাকরি পাওয়া যায়। কিন্তু কখনও এমনটা বলতে শোনা যায়নি যে, ভাল করে পড়াশোনা করলে একজন শিল্পপতি হয়ে একশো ছেলেমেয়েকে নিজেই চাকরি দেওয়া সম্ভব।’ মোমোজ অন হুইলসে মোমোর টানে ছাতা মাথায় আসা ঈশিতা দত্ত রায় বলেন, ‘যিনি মোমো বিক্রি করছেন তিনি আমার বোনের মতো। ও এম.এ পাশ, তবে এই সময়ে এটা কোনও প্রশ্নই নয় যে এম.এ পাশ করে এমনটা করা যাবে না। সবারই স্বাধীনতা রয়েছে নিজের প্রফেশন বেছে নেওয়ার।’
আরও পড়ুন: ১৯ বছর পর শ্রাবণ সোমবারের এমন যোগ, বদলে যেতে পারে আপনার ভাগ্য! ‘অধিক মাস’ নিয়ে জানুন
সদ্য গড়ে ওঠা এই মোমোর দোকান কিন্তু মাত্র ক’দিনেই জলপাইগুড়িবাসীর মন কেড়েছে। খেতে দারুন স্বাদ। সন্ধে নামলেই ক্রমশ ভিড় বাড়তে দেখা যায় মোমো প্রেমীদের। ইতিহাস নিয়ে এম.এ করে পথের ধারে মোমোজ অন হুইলস-এর অন্যতম সারথী স্বর্ণালী বাসু। সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘মূলত এই উদ্যোগ দার্জিলিংয়ের দুঃস্থ মহিলাদের সাহায্য করার অন্যতম একটি প্রচেষ্টা। পাশাপাশি নিজেও কিছু করব এটাই মূল লক্ষ্য।’
সুরজিৎ দে
আপনার শহর থেকে (জলপাইগুড়ি)
জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়ি
Tags: Food, Jalpaiguri News, Momo