[ad_1]
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে ভোটে দাঁড়াতে বলেছিল তৃণমূল। তার পাল্টা হিসাবে বিচারপতিকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার পক্ষে মতো দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শুধু তাই নয় তিনি ভোটে দাঁড়ালে প্রথম ভোটটি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিই দেবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু যাকে নিয়ে এই চর্চা সেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি।
এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আমন্ত্রণে তিনি মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন। অধীর চৌধুরীর মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি। এসব ব্যাপারে আমি কিছু বলব না।’
(পড়তে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী করা হোক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে, দাবি অধীররঞ্জন চৌধুরীর)
শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘আমরা চাইব আগামী দিনে এই বাংলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে একটা নির্বাচন হোক। কারণ মানুষ তাঁকে বিশ্বাস করছে। ভরসা করছে। এই সমস্ত ব্যক্তিত্বকে রাজনীতির ময়দানে এনে তাদের রাজ্য পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হলে একটা নতুন দিগন্ত তৈরি হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অভিজিৎবাবুকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে নির্বাচন হলে ভোট দিতে আমি সবার আগে লাইনে দাঁড়াব। ’
তবে মুখ্যমন্ত্রী হবেন কী হবেন না তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও তাঁর একের পর এক রায়, যে ভাবে তাঁকে মানুষের মনের কোণে জায়গা করে তাই নিয়ে তিনি অভিভূত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি মানুষের ভালোবাসায় অভিভূত। আমি ভগবান নই। আমি ভারতীয় বিচারব্যবস্থার একটি প্রোডাক্ট। কাউকে অভিনন্দন জানাতে হলে ভারতের বিচারব্যবস্থাকে জানান।’
তবে তিনি মনে করেন, কাউকে পথ দেখাতে হয়, তিনি পথ দেখালে অনেকেই সেই পথ ধরে হাঁটবেন বলে আশা প্রকাশ করেন গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতি।
তিনি মুর্শিদাবাদ জেলায় গিয়ে হাজারদুয়ারি পরিদর্শন করেন তিনি। পাশাপাশি একটি পাঠাগারের উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে বহরমপুর রবীন্দ্রসদন মুক্তমঞ্চ একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
১২ ঘণ্টা কাজ করেন বিচারপতিরা
এদিন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিয়ে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তাঁদের প্রশ্নের মাঝপথেই থামিয়ে দিয়ে তিনি বলেন,‘প্রত্যেক বিচারপতি তাঁর নিজস্ব ক্ষমতা আইন প্রয়োগের ধারণা নিয়ে কাজ করেন। এই সম্বন্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে কোনও দ্বিমত নেই। তাঁরা প্রত্যেকেই সকাল ৯টা সাড়ে ৯টা থেকে শুরু করে প্রত্যেকে রাত্রি অন্তত সাড়ে আটটা নটা পর্যন্ত থাকেন।’