[ad_1]
জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে দাঁড়ালেও উত্তর ২৪ পরগনায় স্পষ্ট হয়ে উঠল জেলার রাজনীতির সমীকর। দলনেত্রী ঘনিষ্ঠ বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জ্যোতিপ্রিয়র কীর্তির দায় নিতে নারাজ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলের বিজয়া সম্মিলনীতে যোগদান করে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কী করেছেন সেজন্য দলের ভাবমূর্তি কেন নষ্ট হবে’?
এদিন কাকলিদেবী বলেন, ‘ওটা ওনার পার্সোনাল ক্যাপাসিটিতে উনি করেছেন। ব্যক্তি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কী করেছেন সেজন্য দলের ভাবমূর্তি কেন নষ্ট হবে? উনি সভাপতি ছিলেন না কিন্তু। বারাসত সংসদীয় এলাকায় আমি সভাপতি। প্রতি বছর বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনী করা হয়। এখনো কোনও সমস্যা হয়নি। সমস্যা হলে বুঝব কী ধরণের সমস্যা হচ্ছে’।
যদিও বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি জ্যোতিপ্রিয়র পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস যখন রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তখন ১ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড ছিল। আমাদের সরকার সেই ১ কোটি কার্ড বাতিল করে। রেশন কার্ডের ডিজিটালকরণ ঘটিয়েছি আমরা। যার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার শংসাপত্র পাঠিয়েছে। সবাইকে গ্রেফতার করে কি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ভেস্তে দেবে ভাবছে? সব মন্ত্রীকে কিছু না কিছু বলে গ্রেফতার করবে? কিছু প্রমাণই হল না, আপনারা চোর বানিয়ে দিলেন! একবারও ভাবছেন, তাঁর পরিবার–পরিজনের কী অবস্থা? যাঁরা এসব অভিযোগ তুলছেন, তাঁদের নিজেদের কত বেনামি সম্পত্তি আছে, সে কি আমরা জানি না। ’
তার পরও কাকলির এই মন্তব্যে উত্তর ২৪ পরগনায় দলের ক্ষমতা দখলের লড়াই প্রকাশ্যে চলে এলো বলে মনে করা হচ্ছে। কাকলি ও জ্যোতিপ্রিয় ২ জনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হলেও জেলার রাজনীতিতে কেউ কাউকে জায়গা ছাড়তে নারাজ। তাই কি জ্যোতিপ্রিয়কে দায় ঠেলে আসলে তাঁর শূন্যস্থান দখলের চেষ্টায় রয়েছেন প্রবীণ এই সাংসদ?