Home আপডেট Lawyer death Update: বর্ধমান শহরে জন্তুর হানায় আইনজীবীর মৃত্যু! পুলিশের দাবিকে ঘিরে প্রশ্ন হাইকোর্টে

Lawyer death Update: বর্ধমান শহরে জন্তুর হানায় আইনজীবীর মৃত্যু! পুলিশের দাবিকে ঘিরে প্রশ্ন হাইকোর্টে

Lawyer death Update: বর্ধমান শহরে জন্তুর হানায় আইনজীবীর মৃত্যু! পুলিশের দাবিকে ঘিরে প্রশ্ন হাইকোর্টে

[ad_1]

কলকাতা হাইকোর্টের এক তরুণ আইনজীবীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দানা বেঁধেছে সংশয়।  পুলিশের দাবি জন্তুর আক্রমণে ওই আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এবার প্রশ্ন উঠছে বর্ধমান শহরে কী এমন জন্তু থাকতে পারে যার আক্রমণে এক আইনজীবীর মৃত্য়ু হতে পারে। এমনকী ওই আইনজীবীর সহকর্মীরা এই তত্ত্বের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না। 

মৃত আইনজীবীর নাম স্বস্তিক সমাদ্দার। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে প্র্যাকটিশ করতেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কীভাবে মৃত্যু হল তাঁর? এদিকে যদি ধরেও নেওয়া হয় যে বাস্তবে কোনও জন্তুর আক্রমণে মৃত্য়ু হয়েছে ওই আইনজীবীর। কিন্তু সেক্ষেত্রে ওই আইনজীবীর কাছ মোবাইল, স্মার্ট ওয়াচ, মানিব্যাগ কি জন্তুটাই নিয়ে গিয়েছে? 

এটা কি আদৌ সম্ভব? এদিকে ময়নাতদন্তের প্রথম রিপোর্টেও বলা হয়েছিল জন্তু আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে আইনজীবীর। আবার দ্বিতীয়বার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছিল রাজ্য় সরকার। তখনও বলা হয় যে জন্তুর আক্রমণেই মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব? 

হাইকোর্টও এনিয়ে কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দিয়েছেন যাতে কোনও অবসরপ্রাপ্ত মেডিকোলিগ্যাল বিশেষজ্ঞকে দিয়ে ফের ওই ময়নাতদন্তের রিপোর্টটা আর একবার দেখিয়ে নেওয়া হয়। 

এদিকে মৃতের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত ময়নাতদন্তের বিশেষজ্ঞ একে গুপ্তকে যেন এই বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়। কারণ তাঁর প্রতি ওই পরিবারের আস্থা রয়েছে। এদিকে বিগতদিনে যখন খড়্গপুর আইআইটির ছাত্র ফয়জল আহমেদের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল তখন ওই চিকিৎসকই আত্মহত্যার তত্ত্বকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি বিভিন্ন সূত্রকে এক জায়গায় এনে এটা বলার চেষ্টা করেছিলেন যে ওই ছাত্রকে খুন করা হয়েছে। সেই তদন্ত এখনও চলছে। তবে এবার ওই আইনজীবীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠছে। 

এদিকে ওই আইনজীবীর দেহটির সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন সেভাবে নেই। কিন্তু তাঁর মুখটি ক্ষতিবিক্ষত হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে একটা নাকি একাধিক জন্তু ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু বর্ধমান শহরে এমন কী জন্তু রয়েছে যেটি মানুষকে খুবলে খেয়ে নিতে পারে। 

তবে হাইকোর্ট গোটা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কোনও অবসরপ্রাপ্ত মেডিকোলিগ্যাল বিশেষজ্ঞকে দিয়ে ফের ওই ময়নাতদন্তের রিপোর্টটা আর একবার দেখিয়ে নেওয়া হয়। সেব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

প্রসঙ্গত গত ২১ জানুয়ারি বাড়ি থেকে মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন আইনজীবী স্বস্তিক সমাদ্দার। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ মেলেনি। এই আবহে বর্ধমান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন আইনজীবীর পরিবারের সদস্যরা।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here