[ad_1]
ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহলে ২০১১ সালে পালাবদলের পর ছিল শিরোনামে থাকা কুরকুট এখন অতীত। ঝাড়খন্ড সীমান্ত লাগোয়া বেলপাহাড়ির আমলাশোল গ্রামের বাসিন্দারা পিঁপড়ের ডিম’ খেয়ে বেঁচে থাকত— একথা এখন নাকি কিছুটা প্রবাদে পরিণত হয়েছে। সত্যিই কি জঙ্গলমহলের মানুষ একটা সময় ‘পিঁপড়ের ডিম’ খেয়ে বেঁচে ছিল?
এলাকার মানুষজনরা জানান,এখানকার একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সুস্বাদু খাবার কুরকুট ও তার ডিম। এমন সুস্বাদু একটি খাবার খাওয়া কি দোষের? মাছ, মাংস, ডিম আর কতকগুলো সবজি ছাড়া আরও কত কিছু যে খাবার হতে পারে সে কথা তো আপনারা শহরের মানুষেরা দেখছি জানেনই না! তাঁরা ভাতে সবজি হিসাবে এই কুরকুট খেতেন।
আরও পড়ুন – Jhargram News: ‘ঐরাবতের’ ওপর হামলা ঐরাবতের! হাতির হামলায় ফের আতঙ্কিত ঝাড়গ্রাম
ঝাড়গ্রামের এই মানুষজনরা তাঁরা আরও জানান, পিঁপড়ে খাওয়াটা কোন অবাক করা ব্যাপার বা অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। বরং অনেক বেশি স্বাভাবিক ছিল। কারণ এই প্রজাতির পিঁপড়ে হল এখানকার একটি আহার্য খাবার। এটা কোনও অভাবের আহার নয়, বরং অনেকটাই স্বাদের আহার। কুরকুটের স্বাদ টক তাই মূলত ভাতের সবজি ছাড়াও ‘চাটনি’ হিসাবেই অধিক জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন – Social Media: স্কুল ছাত্রীকে বিপদে ফেলতে এমন কাণ্ড ঘটাল যুবক, এখন দিন কাটবে শ্রীঘরে!
সর্ষের তেল আর কাঁচালঙ্কা ভাল করে মাখিয়ে বেটে এর স্বাদকে আরও দ্বিগুণ বাড়ানো হয়। পিঁপড়ের মতোই কুরকুট স্বাদে অত্যন্ত টক। জঙ্গলমহলে শীতে কুরকুট চাটনি হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ কুরকুট শীতের সর্দি কাশি, নাকে জল পড়া শিশুদের হুপিং কাশিতে বহুল ব্যবহৃত হয়। শবর জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস, শীতে নিয়মিত কুরকুটের ঝোল খেলে শীতকে জয় করা যায়।
Tags: Jhargram, Local Food