Home আপডেট পেট্রল – ডিজেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি মমতার

পেট্রল – ডিজেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি মমতার

পেট্রল – ডিজেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি মমতার

পেট্রল-ডিজেল থেকে রান্নার গ্যাসের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে জ্বলছে আমজনতা। জ্বালানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যও। কোভিড পরিস্থিতিতে এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নাজেহাল জনতা। তাঁদের কথায় মাথায় রেখে পেট্রল-ডিজেলের  কর ছাড় ও সেস কমানোর আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু আবেদন-নিবেদনেই আটকে নেই তৃণমূল সরকার। বরং জ্বালানির দামবৃদ্ধির বিরুদ্ধে পথে নামছেন তৃণমূল বিধায়করা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

এদিনের চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  লিখেছেন, গত মে মাস থেকে ৮ বার পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে। শুধুমাত্র জুন মাসেই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৬ বার। আর গত এক সপ্তাহে ৪ বার দাম বেড়েছে পেট্রোপণ্যের। সবমিলিয়ে আমজনতার নাভিশ্বাস দশা। মমতার কথায়, পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধি মানুষের সহ্যক্ষমতা ছাড়িয়েছে। তবে স্রেফ পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধিই নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চিঠিতে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের মে মাসের তুলনায় ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ৩০.৮ শতাংশ। ডিমের দাম বেড়েছে ১৫.২ শতাংশ, ফলের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ১২ শতাংশ। এমনকী, মহামারীর পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সামগ্রীর দাম বেড়েছে ৮.৪৪ শতাংশ। ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী পেট্রপণ্যের উপর কর কমানো এবং সেস মকুবের দাবি জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে গত ছবছরে পেট্রপণ্য থেকে কেন্দ্র সরকার কত হাজার কোটি টাকা আয় করেছে, সেই তথ্য তুলে ধরেও প্রধানমন্ত্রীকে  খোঁচা দিয়েছেন মমতা।

এর পাশাপাশি, কেন্দ্রের জ্বালানির দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আগামী ১০ এবং ১১ জুলাই পথে নামছেন তৃণমূল বিধায়করা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কোভিডবিধি মেনে তাঁরা প্রতিবাদ করবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত তাঁরা ধরনা দেবেন বলে জানিয়েছেন পার্থবাবু।