ওয়েব ডেস্কঃ সরকার যখন ” বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও “, কন্যাশ্রী, প্রকল্প আনছেন ঠিক তখনই সমাজের বুকে এমন এক সম্প্রদায় মেয়ে চায়। যখন কৌলিন্য প্রথা ভেবে মেয়েকে গলগ্রহ করে বয়স্কের সংসার আর শরীরের ক্ষুদা করে পিতা গলায় বস্ত্র দিয়ে হাত জড়ো করে পাত্রের হাতে সমর্পণ করে, যখন কন্যাপণ নিয়ে বাবা মাকে দগ্ধ কন্যার মুখ দেখতে হয়, যখন কন্যা হয়েছে বলে স্বামী তার স্ত্রীকে পথে বার করে দেন, ভ্রুকুটি ঘিরে কন্যা ভ্রুণ শেষ করে ফেলা হয় তখন কেবল গণিকা হতেই বানজারা সম্প্রদায় মেয়ে চান। এমনকি যে মা কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তার কদর বেশী। কারণ একটাই পশরা, স্ত্রী ও মেয়েরা দেহের পশরা করেই সংসার চালায়।আর স্বামীরা সেই পয়সায় খায়। তাই কদর প্রচুর।
বানজারা ” নাম বললেই উঠে আসে মধ্যপ্রদেশ। ইতিহাস মনে করিয়ে দেয় অশোকের রাজ্যপাঠ, তারপর হস্তান্তর। কারুকার্যে যৌন আবেদন পূর্বাংশের আতিশয্য। তবে শিল্প সংস্কৃতি মৌর্য সাম্রাজ্য ছেড়ে গুপ্ত সাম্রাজ্য এক বিশাল প্রভাব বিস্তার করে। তাই ঐতিহাসিকতা যে, প্রাচীনত্বকে সাথ দেবে তাতে আর বেশী কি! কিন্তু নতুনত্ব বাস্তব গড়লে একটু চমক তো যাবেই সবাই। পরিবর্তন সবাই চায়, কিন্তু এগিয়ে আসে কয়জন। সমাজের বুকে একাট্য চেতনাই যখন বড়ো করে দেখা দিচ্ছে তখন অদ্ভূত এই সম্প্রদায়ের রীতি। কি সেই ভ্রান্তিমূলক পরিবর্তন যা এদের যৌনত্বের ক্ষুন্নিবৃত্তি নিবারণের প্রতীকি হয়ে ধরা দিচ্ছে – আসুন জেনে নেওয়া যাক…
সমীক্ষা বলছে ২০০৯ সালে মাত্র ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে নিয়ে ৬ বছরের কিশোরীকে কিনে নিয়েছিল। পরিসংখ্যান বলছে ৭৫ টি গ্রামে প্রায় ২৩ হাজার মানুষের মধ্যে ৬৫% মহিলা।‘নাই আভা সামাজিক চেতনা সমিতি’ এই চলে আসা প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে বারে বার। মান্দাসৌরে ৩৮ টি গ্রামে ৩৪৩৫ জনের বাস। সেখানে পুরুষ ১১৯২ জন আর মহিলা তার দ্বিগুণ।এই নাই আভা সামাজিক চেতনা সমিতি” বলছে যে এরা প্রয়োজনে ১০,০০০ টাকা দিয়ে শিশু কন্যা কেনে, উদ্দেশ্য একটাই ইনভেস্টমেন্ট। তবে এরা বাইরে থেকে কেনা মেয়েদের যত্ন করে না। তবে পুলিশ, প্রশাসন নয় – সচেতনতাই মূল লক্ষ্য। আর তার জন্যই প্রচেষ্টা। তবু নিমুচ জেলার প্রশাসনিক বিভাগ ব্যক্ত করে যে, শিক্ষিত মেয়েদের জন্য চাকরী, শিশুদের জন্য পড়াশুনার ব্যবস্তা করা এইগুলি পুলিশ প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা করলে তবেই এই সম্প্রদায়ের চেতনা আর মানসিকতার পরিবর্তন সম্ভব। তবেই সাফল্য আর প্রচেষ্টার প্রাপ্তিযোগ।