নয়া কৃষি বিল নিয়ে আন্দোলনে অনড় কৃষকরা ~ বিপাকে অমিত শাহ ……

নয়া কৃষি বিলের বিরুদ্ধে যেভাবে কৃষকরা গর্জে উঠেছেন, তার মোকাবিলা করা হবে কীভাবে, তার পথ খুঁজতে ঘুম উবেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। দমন-পীড়নের রাস্তায় হাঁটলে হিতে ফল বিপরীত হবে, তা বুঝতে পেরে কার্যত কৃষকদের বুঝিয়ে-সুজিয়ে আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসার ব্যাপারে রাজি করাতে মন্ত্রী এবং দলীয় নেতাদের সঙ্গে দফায়-দফায় বৈঠক করে চলেছেন তিনি। যদিও আন্দোলনকারীরা এখনও রণংদেহী মনোভাবই দেখাচ্ছেন। কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তার জন্য শনিবার রাতেই সুর নরম করে আলোচনায় বসার আর্জি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে শর্ত রেখেছিলেন, দিল্লি পুলিশের নির্দিষ্ট করে দেওয়া বুরারি পার্কে অবস্থানে বসতে হবে। যদিও সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন আন্দোলনকারীরা। রবিবার সকালে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়া কৃষি বিলের পক্ষে সাফাই দিয়ে কৃষকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে মন গলেনি আন্দোলনকারীদের। বরং প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গোটা দিল্লি স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন কৃষকরা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে রবিবার রাতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংরা। সেই বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ ধরেই আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া ও শর্ত নিয়ে আলোচনা হয়। আজ সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরকে জরুরি তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, অমিত শাহের বাড়িতে বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী। কিন্তু আন্দোলন প্রত্যাহারে কৃষকদের রাজি করানোর মতো কোনও সম্মানজনক পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই অশান্তির আশঙ্কায় রাজধানী দিল্লির সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে।  অন্যদিকে, দিল্লি-গাজিপুর ও সিঙ্ঘু সীমান্ত সহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানে বসে রয়েছেন কৃষকরা। আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা তথা ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন ক্রান্তিকারী (পঞ্জাব)-এর সভাপতি সুরজিৎ এস ফুল এদিন সকালে ফের হুমকির সুরে বলেছেন, ‘দাবি-দাওয়া না মানা হলে চরম মূল্য চোকাতে হবে মোদি সরকারকে।’