Home আপডেট ” বিজেপি’র নতুন করে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখানোর দরকার নেই, সোনার বাংলার স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ”~ শাহ্‌ কে কটাক্ষ মমতার……

” বিজেপি’র নতুন করে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখানোর দরকার নেই, সোনার বাংলার স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ”~ শাহ্‌ কে কটাক্ষ মমতার……

” বিজেপি’র নতুন করে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখানোর দরকার নেই, সোনার বাংলার স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ”~ শাহ্‌ কে কটাক্ষ মমতার……

রাজ্যে বিধানসভার ভোটের দিন ঘোষণার আগেই জমে উঠেছে রাজ্যের রাজনৈতিক ময়দান।বোলপুরের জামবুনির জনসভা থেকে মঙ্গলবার ফের বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। এদিন তিনি বললেন, “ঘৃণ্য বিদ্বেষের রাজনীতিকে কখনোই ঠাঁই দেবে না কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই পূণ্যভূমি”।বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বেলাগাম ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী। উপাচার্যকে ‘বিজেপির মার্কা মারা’ বলে উল্লেখ করে বলেন, “বিশ্বভারতীকে দাঙ্গার জায়গায় পরিণত করেছে”। এদিন মমতা বলেন, “বিশ্বভারতীর কি আর ভাইস চানসেলর পায়নি। বেছে বেছে নিয়ে আসতে হয়েছে মার্কা মারা, বিজেপির স্ট্যাম্প মারা, একেবারে অনলাইনে স্ট্যাম্প মারা বিজেপির একজনকে। বিশ্বভারতীটাকে দাঙ্গার একটা জায়গায় পরিণত করেছে”।একুশের ভোটে জিতে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রতি দিচ্ছে বিজেপি। মমতা কটাক্ষ করে বলেন, “যাঁরা মহাত্মা গান্ধী এবং দেশের অন্যান্য মনীষীকে সম্মান করেন না, তাঁরা ‘সোনার বাংলা’ গড়ার কাজ করছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক দিন আগেই সোনার বাংলা তৈরি করেছেন। বিজেপির আর নতুন করে স্বপ্ন দেখার দরকার নেই। আমাদের শুধু উচিত, এই জায়গাকে বিজেপির সাম্প্রদায়িক হামলা থেকে রক্ষা করা। কবিগুরুর সাংস্কৃতিক আবাসকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টাটিকে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করতে হবে”।বললেন “কিছুদিন ধরে কুকথায় রবীন্দ্রনাথ-অমর্ত্য সেনকে আক্রমণ করা হচ্ছে। বিশ্বভারতীর, শান্তিনিকেতনের অপমান করা হচ্ছে। বিশ্বভারতীতে ঘৃণ্য রাজনীতির আমদানি করা হয়েছে। ঘৃণ্য-বিদ্বেষমূলক রাজনীতির আমদানি হয়েছে। এখন বলছে, জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন হবে। আমি শুধু বলি, একটু চাট করে দেখো”। বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে ঘনঘন রাজ্যে আসছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি রাজ্য সফরে এসে শান্তিনিকেতনে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মমতা বলেন, “প্রতি সপ্তাহে এক বার ফাইভ স্টারের খাবার চাই, অথচ দেখাচ্ছে আদিবাসী বাড়ির খাবার। আদিবাসীদের অপমান করার অধিকার নেই। এদের দলীয় পতাকা বহন করে এজেন্সির লোকেরা”।একই সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে বলেন, “টাকা দিয়ে এমএলএ কেনা যায়, তৃণমূলকে নয়। টাকা দিলে নিয়ে নিন, কিন্তু ভোটটা অন্য জায়গায় দিন। বাংলা থেকে বিদায় করে দিন। আমার একটাই পরিবার, মানুষের পরিবার, আর কেউ নেই। গ্রামে বহিরাগত দেখলে, পুলিশে খবর দিন”।