দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিন বণ্টন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য সর্বদল বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ আগামী শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর সকালে হবে এই ভার্চুয়াল বৈঠক, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পৌরোহিত্য করবেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই৷ কিন্তু মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ যা বললেন, তাতে সর্বদল বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। কী বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব? তাঁর কথায়, ‘পুরো দেশকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, এমন কথা কেন্দ্রীয় সরকার কোনও দিন বলেনি!’পুরো দেশে কোভিড টিকা দিতে কতদিন লাগবে? মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক বিষয়ে তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এগোনো উচিৎ। একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই, কেন্দ্রীয় সরকার কখনই বলেনি যে, পুরো দেশকে করোনার টিকা দেওয়া হবে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, বৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে তথ্যনির্ভর আলোচনা হোক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গবও। তাঁর দাবি, প্রয়োজনীয় সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর যদি সংক্রমণের শৃঙ্খল ভঙ্গ হয়ে যায়, তাহলে বাকি জনগণকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজনই নেই। গোটা দেশের মানুষ যে ভ্যাকসিনের দিকে চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে, এর মাঝে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের মন্তব্য রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিল।উল্লেখ্য, গত শনিবারই তিনি জাইডাস ক্যাডিলা হেল্থকেয়ার, সিরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক – তিন শহরের এই তিনটি সংস্থায় গিয়ে ভ্যাকসিনের অগ্রগতির খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর যে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়, তাতে তিনি নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি, টিকা কবে আসবে। তবে প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখছে না সরকার, সেই বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।সরকারি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এবং নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্যরা৷ থাকতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও৷সোমবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে সব রাজনৈতিক দলের রাজ্যসভা ও লোকসভার নেতাদের ফোন করে এই সর্বদল বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে এবং তাদের দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ দেশের উত্তর ভাগে যখন মারাত্মক ভাবে বেড়ে চলেছে কৃষক বিক্ষোভ, ঠিক সেই সময়েই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ডাকা এই সর্বদল বৈঠক, কৃষি বিক্ষোভের দিক থেকে গোটা দেশের নজর ঘোরানোর একটা প্রয়াস, এমন অভিযোগও উঠছে রাজনৈতিক মহলে৷করোনা কালে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সর্বদল বৈঠক ডাকা হল৷ এর আগে করোনার লকডাউনের প্রথম পর্বে ৮ এপ্রিল ডাকা হয়েছিল সর্বদল বৈঠক, যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তৎকালীন করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়েছিল৷ সেই সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বারবারই অনুরোধ করা হয়েছিল দেশের সর্বত্র কড়া ভাবে লকডাউন বিধি মেনে চলার জন্য৷ এ বারের বৈঠকের উদ্দেশ্য পুরোপুরি আলাদা৷
মা উড়ালপুল দিয়ে বিপুল পরিমাণ গাড়ি যাতায়াত করে থাকে। এটা শহরের ব্যস্ততম উড়ালপুল। এই উড়ালপুল…
প্রযুক্তি ব্যবহারের জেরে শহরে বেড়েছে ইলেকট্রনিক আবর্জনা। এটাকেই অনেকে ই–বর্জ্য বলে থাকেন। শহরের প্রায় প্রত্যেকটি…
রবিবার সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটে পাঁশকুড়া ছাড়ে দিঘা লোকাল। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হেঁড়িয়া ও…
উত্তরবঙ্গে এখন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। কারণ পার্বত্য এলাকা–সহ পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টি দেখা…
চোরা শিকারিদের হাতে খুন হলেন এক বনকর্মী। রাতে টহল দেওয়ার সময় হামলা চালায় এক দল…
Israel–Hamas war: মধ্যপ্রাচ্যকে কেন্দ্র করে এখন গোটা বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের আবহ। আর সেখানে বারংবার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে…