Home আপডেট সুপ্রিম কোর্টের ৫০ শতাংশ কর্মী করোনা আক্রান্ত, দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯১২ জন

সুপ্রিম কোর্টের ৫০ শতাংশ কর্মী করোনা আক্রান্ত, দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯১২ জন

সুপ্রিম কোর্টের ৫০ শতাংশ কর্মী করোনা আক্রান্ত, দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত  ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯১২ জন

অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে প্রতিদিন। গত বছর এই সময় যে পরিস্থিতি ছিল দেশে, তার থেকেও ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে নোভেল করোনাভাইরাস । গত ২৪ ঘণ্টার সব রেকর্ড ভেঙে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯১২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৯০৪ জনের। আর এহেন পরিস্থিতিতে করোনার প্রবল থাবা বসেছে দেশের শীর্ষ আদালতেও। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের ৫০ শতাংশ কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

এই মারাত্মক পরিস্থিতির জন্য লকডাউন না হলেও আপাতত বাড়ি থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সমস্ত মামলার শুনানি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। আপাতত গোটা সুপ্রিম কোর্ট চত্বর স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে নির্ধারিত বেঞ্চগুলির কাজ শুরু হবে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি দিল্লিতে। ইতিমধ্যেই রাজধানীতে আছড়ে পড়েছে করোনার চতুর্থ ঢেউ। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় টিকাকরণের ওপর জোর দিচ্ছে কেজরিওয়াল সরকার। করোনার টিকাকরণের বয়সসীমা তুলে দিতে ফের একবার কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারই এ নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, দিল্লিতে তৃতীয়বার সংক্রমণ বৃদ্ধির সময়ে এত খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। যা এই চতুর্থ ওয়েভ-এর পর তৈরি হয়েছে ।

গোটা দেশেই করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় রোজই রেকর্ড ভাঙছে দেশে। এই মুহুর্তে দেশের মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে এক কোটি ৩৫ লাখ ২৭ হাজার ৭১৭ তে। তবে, এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১০ কোটি ৪৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৬৫ জন। শুধু অবশ্য আক্রান্ত নয়, দুশ্চিন্তার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৯০৪ জন করোনা আক্রান্তের। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ১৭৯। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রাজ্যে নাইট কার্ফু জারি হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রাজধানী দিল্লিও।

সেই কারণেই টিকাকরণ নিয়ে কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘আমি একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করেছি যে করোনার টিকাকরণের বয়সসীমা তুলে দেওয়া হোক । দিল্লি সরকার সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ করাতে প্রস্তুত রয়েছে ।’ এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টেও পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।