Home আপডেট PM Modi’s economic advisor on Kolkata: সিগারেট-মদেই ডুবে থাকে, বাঙালিদের তোপ মোদীর উপদেষ্টার, ‘অপমান’ মৃণাল সেনকে

PM Modi’s economic advisor on Kolkata: সিগারেট-মদেই ডুবে থাকে, বাঙালিদের তোপ মোদীর উপদেষ্টার, ‘অপমান’ মৃণাল সেনকে

PM Modi’s economic advisor on Kolkata: সিগারেট-মদেই ডুবে থাকে, বাঙালিদের তোপ মোদীর উপদেষ্টার, ‘অপমান’ মৃণাল সেনকে

[ad_1]

জীবনে বড় কিছু করার কোনও ইচ্ছা নেই। মৃণাল সেনের সিনেমা পর্যন্তই দৌড় বাঙালিদের। এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তথা অর্থনীতিবিদ সঞ্জীব সান্যাল। সিদ্ধার্থ আহলুওয়ালির ‘দ্য নিওন শো’ পডকাস্টে কলকাতা ও বাঙালিদের ‘অধঃপতন’ নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি দাবি করেন, বর্তমানে কলকাতার যে দুর্দশা হয়েছে, সেটার মূলে আছেন সাধারণ মানুষই। তাঁরা সিগারেট ফুঁকে, মদ খেয়ে নিজেদের ‘আঁতেল’ ভাবেন। কিন্তু দিনের শেষে তাঁদের সঠিক লক্ষ্যমাত্রার ক্ষেত্রে ‘দৈন্যতা’-য় ডুবে আছেন বাঙালিরা। 

ওই পডকাস্টে মোদীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য দাবি করেন, প্রত্যাশাপূরণ না করলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনছেন মানুষ। কেন সেই কাজটা করছেন তাঁরা, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রশ্নটা হল যে ঠিকমতো কাজ করতে না পারলেও কেন তাদের বারবার ফিরিয়ে আনতেন (পশ্চিমবঙ্গের মানুষ)? আপনারা তো অন্য যে কাউকে বেছে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারতেন? কেন আপনারা (একটি দলকেই) বাববার ভোটে জিতিয়ে আনলেন? সেটার পিছনে কিছুটা নির্বাচনী জালিয়াতির হাত ছিল। বুথদখল করা তো শিল্পের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মতে, আরও গুরুত্বপূর্ণ ছিল সঠিক লক্ষ্যমাত্রার দৈন্যতা। আপনার সমাজ যদি মনে করে যে জীবনের সবথেকে বড় সাফল্য হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া বা আড্ডার বুদ্ধিজীবী (যে বিষয়টিকে কলকাতায় আঁতেল বলা হয়) হওয়া, (তাহলে কিছু করার নেই)। কোথাও বসে ধৃমপান করা, মদের গ্লাসে চুমুক দেওয়াটা যদি আপনার আকাঙ্খা হয় এবং নিজে কোনও কিছু না করে বাকি দুনিয়ার বিষয়ে জ্ঞান দেওয়াই আপনার কাজ হয়, (তাহলে কিছু করার নেই)। যদি সেটাই সমাজের লক্ষ্যমাত্রা হয়, মৃণাল সেনের সিনেমা যদি আপনার সমাজের আকাঙ্খায় পরিণত হয়, তাহলে তখন সেটা নিয়ে অভিযোগ করবেন না।’

মোদীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যের দাবি, সেই মানসিকতা তৈরির পিছনে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কোনও হাত নেই। পুরোটার নেপথ্যে আছে সেই সঠিক লক্ষ্যমাত্রার ‘দৈন্যতা’। তিনি বলেন, ‘এই সমস্যাটা তৈরি করেনি সরকার। সঠিক লক্ষ্যমাত্রার দৈন্যতার কারণেই এইসব সরকার গঠিত হয়। দিনের শেষে মানুষজন সেই নেতাকেই পান, যে নেতা পাওয়ার যোগ্য তাঁরা। আপনি যদি লালুপ্রসাদ যাদবকে নির্বাচিত করেন, তাহলে কোনও ফলের আশা করবেন না।’

আরও পড়ুন: Bus Routes Changing for East-West Metro: মেট্রো চালু হতেই ৫০% কমেছে আয়, রুট পরিবর্তনের পথে ৩ বাস, কী হতে পারে নয়া পথ?

আর তাঁর সেই মন্তব্যে চটে গিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। মৃণাল সেনকে ‘অপমান’ করা হয়েছে বলে দাবি করে এক নেটিজেন বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক সমাজ কি এটার প্রতিবাদ করবেন? রাজনৈতিক দলগুলি করবে? মৃণাল সেনকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য সিনেমার দুনিয়ার লোকজন প্রতিবাদ করবেন?’ একজন আবার বলেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে উনি বাংলার অর্থমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করছেন।’ 

আরও পড়ুন: Ruby to Beleghata Metro CRS inspection: নয়া লাইন জুড়বে শীঘ্রই? সবথেকে বড় পরীক্ষার মুখে কলকাতা মেট্রো! কবে চালু হবে?

যদিও নেটিজেনদের একাংশের সমর্থনও পেয়েছেন মোদীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য। এক নেটিজেন বলেন, ‘উনি তো রূঢ় বাস্তবটাই তুলে ধরেছেন। আর কলকাতার তথাকথিত ভদ্রলোকদের এটা অপমানজনক মনে হচ্ছে।’ একইসুরে অপর একজন বলেন, ‘উনি তো সঠিক কথাই বলছেন। পশ্চিমবঙ্গে যে বাঙালিরা থাকেন, তাঁদের অধিকাংশের মধ্যেই আকাঙ্খার অভাব আছে। চোখ বন্ধ করলে কি দিন আর রাত হয়ে যাবে?’

আরও পড়ুন: Dum Dum Cantonment Metro Start Date: তিন সপ্তাহ পরেই দমদম ক্যান্টনমেন্ট মেট্রোর উদ্বোধন! কবে? কতদূর চলবে আপাতত?

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here