একদিকে মানুষ লড়ছে মানুষ অক্সিজেন, ওষুধ, ভ্যাকসিন, হাসপাতালের বেডের জন্য। অন্যদিকে ১৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একটি নতুন বাসভবন তৈরি করা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির জন্য নির্মীয়মাণ বাসভবন করোনা মহামারির মধ্যেই পরিবেশ-সম্পর্কিত ছাড়পত্র পেয়েছে। মহামারির মধ্যে অন্য বেশ কিছু কার্যকলাপ বন্ধ থাকলেও এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা সরব হলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। মঙ্গলবার তিনি বলেন, যখন অক্সিজেন এবং ভ্যাকসিনের ঘাটতির কারণে মানুষকে যখন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, তখন সরকার যদি একটি বিল্ডিং নির্মাণের পরিবর্তে জীবন বাঁচানোর জন্য কাজ করত, তা হলে ভালো হতো।
जब देश के लोग ऑक्सीजन, वैक्सीन, हॉस्पिटल बेड, दवाओं की कमी से जूझ रहे हैं तब सरकार 13000 करोड़ से पीएम का नया घर बनवाने की बजाए सारे संसाधन लोगों की जान बचाने के काम में डाले तो बेहतर होगा। इस तरह के खर्चों से पब्लिक को मैसेज जाता है कि सरकार की प्राथमिकताएँ किसी और दिशा में हैं। pic.twitter.com/2OylP2ncJ6
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) May 4, 2021
প্রধানমন্ত্রীর জন্য নতুন বাসভবন নির্মাণের পরিকল্পনার প্রসঙ্গ তুলেই এমন মন্তব্য করেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি টুইটে লেখেন, “দেশের মানুষ অক্সিজেন, ভ্যাকসিন, হাসপাতালের বেডের জন্য লড়াই করছে। এমন একটা সময়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একটি নতুন বাসভবন তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু এর বদলে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সম্পদের ব্যবহার করাই ভালো”।
তিনি আরও লেখেন, “এই ধরনের ব্যয় সাধারণ মানুষকে বার্তা দিচ্ছে, সরকার অগ্রাধিকারের তালিকায় কোনগুলোকে রাখছে”।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে একটি ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাতে করোনা লকডাউনের সময় কাজটি বন্ধ না হয়ে অবিরাম চলতে থাকে। সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসাবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি নতুন বাসভবন তৈরি করা হবে বলে স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।