[ad_1]
বিজেপিতে কী যোগ দিচ্ছেন তৃণমূল ছাত্রনেত্রী রাজন্যা হালদার? এই প্রশ্ন গত দুদিন ধরে রাজনৈতিক মহলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি যোগ দিচ্ছেন না বিজেপিতে। এ খবর নিজেই জানিয়ে দিলেন সংবাদমাধ্যমকে। রাজন্যা স্বীকার করেন, তাঁকে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের তরফে ফোন করা হয়েছিল। তাঁকে লোকসভা ভোটে টিকিট দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তাঁর লক্ষ্য ব্রিগেডে জনগর্জন সভাকে সফল করা।
তিনি বলেন,’বিজেপি থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু স্পষ্টই আমার উত্তর ছিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ছেড়ে বা আর্শীবাদ ছেড়ে কখনই আমি অন্য কোনও দলে যোগদান করব না।’
আরও পড়ুন। ‘অন্যান্য দেশে যদি সম্ভব হয়…?’ নির্বাচনে স্টেট ফান্ডিং-এর পক্ষে ফের সওয়াল মমতার
বিজেপির তরফ কী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হলে রাজন্যা বলেন, ‘সাংসদ টিকিটের প্রস্তাব দেওয়া হয়। আমাকে বলা হয় দল এই মুহূর্তে আকণ্ঠ দূর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। সেই জায়গা থেকে যদি বিজেপিতে যোগদান করা হয় তাহলে ভাল হয়।’ তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের সব কিছুতে দুর্নীতিতে যে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটা তো একটা তৈরি করা জায়গা। যার পুরোটা বিজেপি তৈরি করেছে। আমি আগেও উত্তর না ছিল। এখনও না আছে।’
রাজন্যা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানান, চার-পাঁচ দিন আগে বিজেপি থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দিল্লি নয় রাজ্য নেতৃত্বই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন। ‘দিদি নম্বর ওয়ান নই, আমি বিশ্বের দিদি,’ মোদীর স্টাইলে এবার ‘গ্যারান্টি’ দিলেন মমতা
গত বছর তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে নজর কড়েছিলেন সোনারপুরের মেয়ে রাজন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামপন্থী ছাত্র নেতানেত্রীদের মতো স্লোগান দেওয়ার স্টাইলে তৃণমূলের মঞ্চে নিজেকে আলাদা করে চিহ্নিত করাতে পেরেছিলেন তিনি। তাঁর কাজকর্ম দেখে তাঁকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি ইউনিটের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আগামী দিনে তাঁকে আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে পারে তৃণমূল। সেই রাজন্যাকেই বিজেপির তরফ দলে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি পত্রপাঠ সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন। BJP-তে এসে নারদকাণ্ডে শুভেন্দুকে ক্লিনচিট অভিজিতের, ‘তালপাতার সেপাইয়ের চক্রান্ত’