Home আপডেট হিন্দু, মুসলমানের একই উৎস, গো-রক্ষার দোহাই দিয়ে গণরোষ, হিংসা হিন্দুত্বের বিরোধীঃ মোহন ভাগবত

হিন্দু, মুসলমানের একই উৎস, গো-রক্ষার দোহাই দিয়ে গণরোষ, হিংসা হিন্দুত্বের বিরোধীঃ মোহন ভাগবত

হিন্দু, মুসলমানের একই উৎস, গো-রক্ষার দোহাই দিয়ে গণরোষ, হিংসা হিন্দুত্বের বিরোধীঃ মোহন ভাগবত

হিন্দুত্বের তাস খেলা পায়ের তলার মাটি কেড়ে নিতে পারে, এই উপলব্ধিতেই কি ভোল পালটে  অন্য মোহন ভগবত! যাঁর মুখ থেকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির কথা নয়, বরং আগাগোড়াই সাম্প্রদায়িক ঐক্যের কথা বেরোল। যিনি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের জন্য জোর সওয়াল করলেন। সেই সঙ্গে বললেন, ভারতবাসীর পরিচয়, তিনি একজন ভারতীয়। তিনি দাবি করছেল, ভারতের হিন্দু, মুসলমান একই উৎস থেকে এসেছেন।

আরএসএসের মুসলিম শাখা, মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের অনুষ্ঠানে এ কথা বললেন ভাগবত। সেই সঙ্গে তথাকথিত গোরক্ষকদের বিরুদ্ধেও কথা বলেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, “যে বা যাঁরা গো-রক্ষার দোহাই দিয়ে গণরোষ তৈরি করে কাউকে কাউকে আক্রমণ করছেন, তাঁরাও হিন্দুত্বের বিরোধী।”

খোয়াজা ইফতিকার অহমেদের বই, ‘দ্য মিটিং অব মাইন্ডস্‌’-এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন ভগবত। গোরু সম্পর্কে এখানেই আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘গরু একটি পবিত্র প্রাণী। কিন্তু গো-রক্ষার কারণে যাঁরা গণরোষ তৈরি করে অন্যকে আক্রমণ করছেন, তাঁরা হিন্দুত্ব থেকে বিচ্যুত হচ্ছেন। আইন আইনের পথেই চলবে।’’

দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সাম্প্রদায়িক ঐক্য ছাড়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ভগবত। আর সে কারণেই জাতীয়তাবাদের প্রসার এবং দেশপ্রেম দরকার বলে জানান তিনি। ভারতের পূর্বপুরুষদের যে ঐতিহ্য তাঁকে রক্ষা করাই লক্ষ্য হওয়া উচিত। হিন্দু মুসলমানের ধর্মীয় মতের বিরোধ নিয়ে আলোচনা হতে পারে কিন্তু তা অনৈক্যের রূপ কখনোই যেন না নেয়।

সভামঞ্চ থেকে তিনি স্পষ্ট করে দেন, ‘‘আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। এখানে হিন্দু বা মুসলিম, কারওরই প্রাধান্য থাকতে পারে না। এখানে প্রাধান্য পাবে শুধু ভারতীয়রা। আমাদের দেশকে শক্তিশালী করতে কাজ করতে হবে। সমাজের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।”