শীর্ষ নেতৃত্বের বদল চেয়ে রবিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এর জেরে মঙ্গলবার বর্ষীয়ান সিপিএম নেতাকে মুজফ্ফর আহমেদ ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন বিমান বসু।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটে সিপিএমের বেনজির বিপর্যয়ের পর থেকেই দলের ‘অস্বস্তি’ বাড়িয়ে চলেছেন বর্ষীয়ান নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। কখনও তৃণমূলের সঙ্গে বৃহত্তর জোটের ইঙ্গিতপূর্ণ দাবি করে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন, রাজ্য কমিটির বৈঠকে আবার সেই বক্তব্য অস্বীকার করে বিতণ্ডায় জডিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গে।
এরই মধ্যে রবিবার আলিমুদ্দিনে একটি চিঠি পাঠান কান্তিবাবু। রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি চরম অনাস্থা প্রকাশ করে খোলনলচে বদলের দাবি জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে শোচনীয় পরাজয় নিয়ে মূল্যায়ন করতে পার্টির রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকেও চিঠি দেন এই বাম নেতা।
পশ্চিমবঙ্গের ১৭তম বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের শোচনীয় পরাজয়ের দাগ লেগেছে কান্তিবাবুর গায়েও। যে কোনো বিপদে আপদে সব সময় যে কান্তিবাবুকে মাঠে নেমে কাজ করতে দেখা যায়, তিনি এ বার রায়দিঘিতে তৃতীয় হয়ে শেষ করেছেন।
এই ফলাফলের প্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমে কান্তিবাবু বলেছেন, ‘‘কেন এমন বিপর্যয় হল তার মূল্যায়ন করতে হবে। এই ফলাফলের নিরিখে আমি হতাশ নই। সেই জন্যই তো দল এক সময় শুদ্ধিকরণের পথে হেঁটেছিল। সেগুলো নিয়ে দলকে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।’’এর পরেই কান্তিবাবু দলের সর্বস্তরের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘এখনই দলের সব কমিটি ভেঙে দেওয়া উচিত। শূন্য থেকে শুরু করতে হবে।’’
যদিও পার্টিকে চিঠি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি পার্টিকে কোনও চিঠি দিইনি। যা বলার প্রকাশ্যেই বলেছি।’’ তবে মুজফ্ফর আহমেদ ভবন সূত্রে খবর, কান্তির চিঠি ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছেন রাজ্য সম্পাদক।