রাশিয়া :- ২ ( ৩)
( চেরিশেভ ৩১’, ফার্নান্দেজ ১১৫’)
( পেনাল্টি :- জাগোয়েভ,ইগনাসেভিচ কুজইয়ায়েভ)
ক্রোয়েশিয়া :- ২ (৪)
( ক্রামারিচ ৩৯’,ভিদা ১০০’)
( পেনাল্টি :- ব্রোজোভিচ,মদ্রিচ,ভিদা,রাকিতিচ)
সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে সোচিতে ক্রোয়েশিয়ার নামে চেরিশেভরা। জয়ী দলের সঙ্গে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল সাউথগেটের ছেলেরা। প্রথমার্ধের ৩১ মিনিটে গোল দিয়ে এগিয়ে যায় আয়োজক রাশিয়া। বক্সের বাইরে থেকে চেরিশভের বা পায়ের জোরালো শটে পরাস্ত হন সুবাসিত।১-০ গোলের লিড অবশ্য রাশিয়া বেশিক্ষন ধরে রাখতে পারেনি। ম্যাচের ৩৯ মিনিটের মাথায় গোল করে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া।
৮ মিনিট পরেই ক্রামারিচ দলকে সমতা এনে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিস্ট স্টেডিয়ামে রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ লড়াইয়ে রাশিয়া ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে। ১৯৮৬ সালের পর থেকে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কোন না কোন ম্যাচে দরকার হয়েছে অতিরিক্ত সময়ের।এই বিশ্বকাপের শেষ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের আগে পর্যন্ত দরকার হয়নি অতিরিক্ত সময়ের। ৮৬’র সেই প্রথাকে ধরে রেখে ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে।
এক্সট্রা টাইমের প্রথমার্ধে ১০০’ মাথায় কর্নার থেকে পাওয়া বলে হেড করে গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন ভিদা। ১১৫’ ডেড বল সিচুয়েশান থেকে পাওয়া বলে জোরালো হেডে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২-২ এ রাশিয়াকে সমতায় ফেরান ফার্নান্দেজ। দেশের হয়ে ফার্নান্দেজের এটিই প্রথম গোল। খেলা গড়ায় পেনাল্টিতে।
রাশিয়ার হয়ে পেনাল্টি মিস করেন স্মলভ, ফার্নান্দেজ। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে পেনাল্টি মিস করেন কোভাসিচ। ৪-৩ এ শুট আউটে জিতে মস্কোতে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া।