[ad_1]
সন্দেশখালিকাণ্ডে আরও অস্বস্তি বাড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। এবার মমতার প্রশাসনের কাছে সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় তফশিলি কমিশন। সন্দেশখালিতে তফশিলি জাতির সদস্যদের ওপর অত্যাচার হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠায় পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরুণ হালদার। জাতীয় তফশিলি কমিশনের এই তৎপরতায় পুলিশের ওপর চাপ আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ভোর রাতে পুলিশি তাণ্ডব, মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে ৬ মাসের শিশুকে ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ মত্ত পুলিশের বিরুদ্ধে
অরুণবাবু জানিয়েছেন, সন্দেসখালিতে ওঠা অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় তফশিলি কমিশন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে তাদের। নির্দেশ পালন না করলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অরুণবাবু। জানিয়েছেন, প্রশাসনের রিপোর্ট সন্তোষজনক না হলে কমিশনের ফুল বেঞ্চ সন্দেশখালি গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলবে।
সন্দেশখালি কাণ্ডে তপশিলি জাতিভুক্তদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে অধুনা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সরদার ও তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁদের জমি দখল করে মাছ চাষ করলেও বছরের পর বছর তার লিজের টাকা দিতেন না এই ২ তৃণমূল নেতা। শেখ শাহজাহানের হাত মাথায় থাকায় এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করত না পুলিশ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে রাস্তার পাশে পাওয়া গেল ভুরি ভুরি পাস বই আর ATM কার্ড
শুধু তাই নয়, উত্তম ও শিবুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মহিলারা। অভিযোগ, তৃণমূলের বাহিনী গ্রামে এসে কম বয়সী সুশ্রী বধূদের চিহ্নিত করে রেখে যেত। তার পর কোনও একদিন গভীর রাতে স্বামীর সামনে থেকে অপহরণ করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হত তৃণমূলের পার্টি অফিসে। এর পর যতদিন খুশি আটকে রাখা হত সেই বধূকে। কোনও অভিযোগ করলে স্বামীকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিত অভিযুক্তরা।