Home আপডেট Shankar Adhya’s Wife in CGO Complex: বিস্ফোরক শংকরের স্ত্রী, মেয়েকে নিয়ে সকাল সকাল ইডি দফতরে জ্যোৎস্না আঢ্য

Shankar Adhya’s Wife in CGO Complex: বিস্ফোরক শংকরের স্ত্রী, মেয়েকে নিয়ে সকাল সকাল ইডি দফতরে জ্যোৎস্না আঢ্য

Shankar Adhya’s Wife in CGO Complex: বিস্ফোরক শংকরের স্ত্রী, মেয়েকে নিয়ে সকাল সকাল ইডি দফতরে জ্যোৎস্না আঢ্য

[ad_1]

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গতকালই গ্রেফার হয়েছেন স্বামী তথা বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। এই আবহে ইডির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শংকরের স্ত্রী তথা বনগাঁ পুরসভার বর্তমান উপ-প্রধান জ্যোৎস্না আঢ্য। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই আবহে আজ সকালেই মেয়েকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান জ্যোৎস্না। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে জ্যোৎস্না বলেন, ‘ইডির এক অফিসার গ্রেফতারের আগে শঙ্করবাবুকে বলেছিলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নাকি তাঁর নাম নিয়েছেন। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’ (আরও পড়ুন: শেখ শাহজাহানের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে বিস্ফোরক ইডি, আজ দিল্লিতে যাবে রিপোর্ট)

আরও পড়ুন: নিজের শক্তি বুঝেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট আলোচনা, জেলায় জেলায় সমীক্ষা চালাবে কংগ্রেস

জ্যোৎস্নার অভিযোগ, তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের যেভাবে জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, একই ভাবে শংকরেরও পরিচয় ছিল প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। জ্যোৎস্নার অভিযোগ, ইডি-র আধিকারিকরা তাঁর স্বামীর সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত কথাই বলেন। রাতে ইডি-র অফিসাররা কোনও নথি দেখিয়ে জানান, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল। যদিও জ্যোৎস্নার দাবি, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে শংকরের কোনও যোগাযোগ নেই। এই আবহে শংকরের মেয়ের বক্তব্য, ‘রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে বাবাকে। কে চক্রান্ত করেছে বলতে পারছি না, তদন্ত যত এগোবে জবাব দিয়ে দেব। এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কোনও লেনদেন হয়নি বাবার সঙ্গে। আইনের কাছে আবেদন যেন সঠিকভাবে বিচার হয়।’

এদিকে ইডির দাবি, সরাসরি শস্য কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত না থাকলেও রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার নেপথ্যে মূল পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন শংকর। কলকাতার মার্কুইস স্ট্রিটে শংকর আঢ্যর বৈদেশিক মুদ্রা এক্সচেঞ্জের সংস্থা – আঢ্য ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস আছে। ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা দিয়ে তৃণমূল নেতার এই সংস্থার মাধ্যমে সোনা এবং বৈদেশিক মুদ্রা কেনা হয়েছে। হাওয়ালার মাধ্যমে বাইরে টাকা পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে জাল নোট সংক্রান্ত মামলাতেও নাম জড়িয়েছিল শংকর আঢ্যর।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে ম্যারাথন তল্লাশি চলে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে। এরপর রাত ১২টা ৩২ মিনিট নাগাদ শংকর আঢ্যকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বের করে আনেন ইডি আধিকারিকরা। এদিকে তাঁকে ইডি বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁর অনুগামীরা। এমনকী ইডির গাড়ি লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনগাঁ থানার পুলিশ। এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিআরপিএফ জওয়ানরাও লাঠিচার্জ করে বলে জানা যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার শংকর আঢ্যর শ্বশুরবাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেখান থেকে উদ্ধার ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। এদিকে শংকরের অধীনে কাজ করা অঞ্জন মালাকারের বাড়িতেও ইডি হানা দিয়েছিল। তল্লাশি চালানো হয় শংকরের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের বাড়িতে। আঢ্যর সহযোগী বাবলু দাসের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here