Home আপডেট Sonarpur TMC Councilor: ‘হানিমুন করে আসছে…’, কুৎসা রটনায় নাজেহাল তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া

Sonarpur TMC Councilor: ‘হানিমুন করে আসছে…’, কুৎসা রটনায় নাজেহাল তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া

Sonarpur TMC Councilor: ‘হানিমুন করে আসছে…’, কুৎসা রটনায় নাজেহাল তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া

[ad_1]

সোনারপুর-রাজপুরের কাউন্সিলর পাপিয়া হালদারের অভিযোগে শোরগোল পড়েছে জেলার রাজনীতিতে। মহিলা কাউন্সিলর দলেরই এক যুবনেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। পাপিয়ার দাবি, বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা প্রতীক দে। তবে সেই প্রস্তাবে সায় না দেওয়া তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। পাপিয়ার অভিযোগ, প্রতীকের উস্কানিতে এলাকার মানুষজনই তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করছে। কাউন্সিলর এই বিষয়ে বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি এমনই যে, আমি বাড়ির বাইরে বেরোলেই বলা হচ্ছে, আমি কারও না কারও সঙ্গে হানিমুন করতে গিয়েছি। আর বাড়িতে থাকলে বলা হচ্ছে, কারও সঙ্গে আমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।’ এদিকে পাপিয়ার অভিযোগ, প্রতীক নাকি তাঁর বাড়িতে এসে সঙ্গীদের নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। এদিকে প্রতীক বলছেন, দল তদন্ত করুক। এদিকে পাপিয়া কাউন্সিলর হিসাবে কোনও কাজ করছেন না বলে অভিযোগ প্রতীকের। (আরও পড়ুন: ‘পুলিশের অফিসারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে পাপিয়া’, কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক যুবনেতা)

আরও পড়ুন: ‘বিবাহিত জীবনের সমস্যা…’, সজ্জন জিন্দলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ অভিনেত্রীর

এদিকে পাপিয়ার অভিযোগ, তাঁকে ওয়ার্ড বসতে দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি নাকি তিনি পুরপ্রধানকেও জানিয়েছেন। এদিকে এই বিষয়ে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব বলেন, ‘আমাকে পাপিয়া ফোন করেছিল। আমি দেখা করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু ও দেখা করতে আসেনি। ওর বাড়ি থেকে এরপর জানানো হয়, ও অসুস্থ। সুস্থ হলে আমি আসতে বলেছি। পুর পরিষেবা বিঘ্নিত হলে আমি ব্যবস্থা নিতাম। ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করব না।’ যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী জানান, তাঁর কাছে এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ এসে পৌঁছায়নি।

জানা যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষ্মীকান্তপুরের বাসিন্দা ছিলেন পাপিয়ারা। তাঁর বাবা ছিলেন কলকাতা পুলিশের কর্মী। পরে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জায়গা কিনে সেখানে বসবাস শুরু করেন। ২০১৬ সালে এই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর হয়েছিলেন প্রতীক। সেই সময় পাপিয়ার বাড়ির সামনে পুরসভার ড্রেন তদারকির কাজে গিয়েছিলেন প্রতীক। আর তখনই নাকি দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ। অভিযোগ উঠেছে, প্রতীকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতিতে আসেন পাপিয়া। পুরভোটে লড়েন তিনি। এমনকী বহু অনুষ্ঠানে পাপিয়া এবং প্রতীককে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। এই আবহে প্রতীকের দাবি, পুজোর পর থেকেই তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। অপরদিকে পাপিয়ার দাবি, বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ না করায় তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here