Home আপডেট ‘ধান্ধাবাজদের দল বিজেপি’ ~ পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের……

‘ধান্ধাবাজদের দল বিজেপি’ ~ পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের……

‘ধান্ধাবাজদের দল বিজেপি’ ~ পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের……

শনিবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুরের সভা থেকে পুরনো দল তৃণমূলের সমালোচনা করলেন কড়া ভাষায়। যদিও তাঁর দলবদলকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথায়, “উনি শুধু নন্দীগ্রামের সংগ্রাম দেখেছেন। আমাদের আন্দোলনের তালিকা অনেক দীর্ঘ। এই সবকিছুর ফসলের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”।এ দিন মেদিনীপুরের সভামঞ্চে ওঠার আগে একটি খোলা চিঠি পেশ করেন শুভেন্দু। যেখানে লিখেছেন, “তৃণমূলে পচন ধরেছে। ১০ বছরে কোনো উন্নয়ন হয়নি”। পাল্টা জবাবে ফিরহাদ বলেন, “উনি তো ১০ বছর বিধায়ক আর সাড়ে চার বছর মন্ত্রী ছিলেন, তা স্বীকার করছেন কিছুই করতে পারেননি। বড়োবাড়ির সুন্দর দেখতে ছেলে, বিজেপি তাঁকে নিতেই পারে”।শুধু শুভেন্দু নন, বিধানসভা ভোটের আগে অনেকেই দল ছাড়ছেন। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, “যারা গেছে তারা এমনিই মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন।শীলভদ্র দত্ত ব্যারাকপুরের মানুষের কোনো কাজে লাগে না। তাঁর উপর ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় মানুষের। ফলে এরকম দু’-চারটে লোককে নিয়ে ভেবে কিছু হবে না”। বিজেপির নীতির প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, “আমরা মমতার আদর্শ নিয়ে রাজনীতিতে এসেছি। পরে নেতা হয়েছি। আর বিজেপি এসেছে অন্যদল থেকে ছেঁটে কাজ চালাতে। তাদের আদর্শ বলে কিছু নেই। ধান্ধাবাজদের নিয়ে বিজেপি চলছে”।এ দিন বিকেলে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিয়ে দলের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অমিত শাহ এত মিথ্যে কথা বলতে পারেন, যা অন্য কোনো মানুষই বলতে পারেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেস থেকে তাড়ানো হয়েছিল। নতুন দল গড়েছিলেন। অমিত শাহ তা জানেন না, অথবা তিনি  সেটি ভুলে গেছেন। আজকে একাধিক নেতাকে যোগ দান করিয়ে মিথ্যে কথা বলতে বাধ্য হচ্ছেন। কৃষকের বাড়িতে খেতে গেলেই কৃষকবন্ধু হওয়া যায় না। সারা দেশের কৃষক আন্দোলন তারই প্রমাণ”। তিনি আরও বলেন, “অমিত শাহ পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বললেন। তা হলে অধিকারী পরিবারে কি তা নেই। আপনি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর আপনার ছেলে বিসিসিআই-এ চলে গেলেন। আসলে এই পার্টিটা হচ্ছে লুঠের পার্টি”। শুভেন্দুর সমালোচনা করে কল্যাণ বলেন, “উনি ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৪ সালে হারলেন কেন। অধিকারী যদি তৃণমূলকে হারতে হয়, তা হলে উনি তখন জিতলেন না। শুভেন্দু অধিকারী আজ পরিবারতন্ত্রের প্রশ্নটাই তুলে দিলেন”। এ দিন মঞ্চে ওঠার ঠিক আগে তৃণমূলকর্মীদের উদ্দেশে একটি ছ’পাতার খোলা চিঠি পেশ করেছেন শুভেন্দু। দীর্ঘ এই চিঠির মূল কথা- “তৃণমূলে পচন ধরেছে। ১০ বছরে কোনো পরিবর্তন হয়নি। দলের থেকে ব্যক্তিস্বার্থ প্রাধান্য পাচ্ছে”। জবাবে কল্যাণ বলেন, “আজ বলছেন, তৃণমূল পচে গেছে, তা হলে ভাই আপনিও তো পচে গিয়েছেন”।শুভেন্দু অবশ্য স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন, “আগে তৃণমূলে ছিলাম, তখন বলেছিলাম, ‘বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও’। এখন বিজেপিতে যোগ দিয়ে স্লোগান তুলব-‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’। বাংলায় বিজেপিরই সরকার হবে। কাল থেকেই কাজ শুরু করে দেব”।শুভেন্দু এই মন্তব্যের জবাবে কল্যাণ বলেন, “আপনার বুকের পাটা নেই। আপনি কাপুরুষ। তাই ভাইপোর নাম নিতে পারলেন না। আপনার বুকের পাটা যদি থাকে, তা হলে নামটা নিয়ে দেখান। কী পাননি আপনি। আর কত সম্মান চান আপনি। তিনটে মন্ত্রিত্ব। পাঁচখানা জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন। তা হলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারটা পেলেই আপনি তৃপ্ত হতেন। অসাধারণ খেলা আপনার”।