Home আপডেট বিজেপি-তে যোগ দিয়েই সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমোকে কড়া ভাষায় আক্রমন শুভেন্দুর……

বিজেপি-তে যোগ দিয়েই সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমোকে কড়া ভাষায় আক্রমন শুভেন্দুর……

বিজেপি-তে যোগ দিয়েই সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমোকে কড়া ভাষায় আক্রমন শুভেন্দুর……

শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের  সভায় বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই অরাজনৈতিক সভা থেকে তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেও এই প্রথম তিনি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বললেন,”মেদিনীপুরে অধিকারিদের বাদ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন, এবারও তিনি সেই দ্বিতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকবেন। মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে এই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন সদ্যপ্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি।শনিবার দুপুরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তাঁর ভাষণে শুভেন্দু বলেন, ‘দিন কয়েক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে বলেছিলেন ১৯৯৮ সালে দল গঠনের পর এখানে লড়াই করে দ্বিতীয় হয়েছিলাম। আমরা দলে যোগ দিয়েছিলাম ১৯৯৯ সালে। অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন অধিকারিদের বাদ দিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলাম। এবারও তিনি দ্বিতীয় হবেন। কারণ মেদিনীপুর তাঁকে কিছু দেবে না।একইসঙ্গে, দুই মেদিনীপুরের স্থানীয় বিজেপি নেতাদের আশ্বস্ত করে শুভেন্দু বলেছেন, ‘নিশ্চিন্তে থাকুন, শুভেন্দু মাতব্বরি করতে, খবরদারি করতে বিজেপিতে আসেনি। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে এসেছি, আকাশ থেকে পড়িনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টাই আমি রাজনীতি করি। কোনও চিন্তা নেই, কাল থেকেই বুথে বুথে নেমে পড়ব। দেওয়াল লিখব, পোস্টার লিখব কোনও চিন্তা নেই। কারণ, দিল্লি ও কলকাতায় একই দলের সরকার থাকলে তাহলেই রাজ্য এগোবে। তা না হলে রাজ্য ক্রমশই পিছোতে থাকবে।’তিনি নিজে যে সরকারের শরিক দিন ২০ আগেও ছিলেন সেই সরকার সম্পর্কে কড়া সমালোচনা এদিন শোনা গেল শুভেন্দুর গলায়। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘রাজ্যে কারও চাকরি নেই, টেটের দুর্নীতি, টাকা নেই মানুষের হাতে। তাই এই সরকার বদলের অবশ্যই প্রয়োজন। তা না হলে রাজ্য এগোবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পকে রাজ্যে ইচ্ছে করে চালু করছে না এই সরকার। তাই এই সরকার বদলে মোদিজীর হাতে নেতৃত্ব তুলে দিলে রাজ্যের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।’একইসঙ্গে বহিরাগত তত্ত্বের কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি সভামঞ্চে বলেন, ‘সকলকে এঁরা বহিরাগত বলছে। আগে আমরা ভারতীয়, তারপর বাঙালি। এটাই আমাদের পরিচয়। তৃণমূলে এখন চূড়ান্ত ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা। আস্থা, বিশ্বাস, সম্মান, বোঝাপড়া কিছুই নেই। তাই ওই দলে থাকা সম্ভব নয়।’