Home আপডেট একুশের ভোটের লড়াইয়ে বাংলায় নিজেদের প্রমানের লড়াইয়ে প্রস্তুত AIMIM, প্রথম কর্মীসভা হল পশ্চিম মেদিনীপুরে……

একুশের ভোটের লড়াইয়ে বাংলায় নিজেদের প্রমানের লড়াইয়ে প্রস্তুত AIMIM, প্রথম কর্মীসভা হল পশ্চিম মেদিনীপুরে……

একুশের ভোটের লড়াইয়ে বাংলায় নিজেদের প্রমানের লড়াইয়ে প্রস্তুত AIMIM, প্রথম কর্মীসভা হল পশ্চিম মেদিনীপুরে……

একুশের ভোটকে সামনে রেখে দলের শাখাপ্রশাখা মেলার কাজ শুরু করে দিল AIMIM বা মিম ৷ শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে  দলের প্রাথমিক কর্মী বৈঠক হয় ৷ যেখানে জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে সংগঠনের কর্মীরা হাজির হয়েছিলেন।এদিন দুপুর থেকে কয়েক ঘন্টা ধরে প্রস্তুতি বৈঠক করেন মিম (MIM) রাজ্য নেতারা ৷ এর আগে এই দলের কোনও কার্যকলাপ তেমন ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরে দেখা যায়নি ৷ শনিবারই প্রথম এই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করেন নেতারা ৷ রাজ্য স্তরের সংগঠনের নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনিসুর রহমান, ফিরোজ আহমেদ, গোলাম নবি আজাদ প্রমুখ ৷বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে বৈঠক করে কর্মীদের প্রতি ব্লকে সদস্য সংগ্রহ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷ খুব শিগগিরি সদস্য বাড়িয়ে ফের বড় সভা করা হবে বলে কর্মীদের জানানো হয়েছে ৷এদিন আনিসুর রহমান বলেন, কর্মীদের সংগঠিত করার জন্য এটি একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা প্রতিদ্বন্দিতা করব। মানুষ চাইছে একটি বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি। আমরা বিশ্বাস করি মিম (MIM) সেই জায়গা পূরণ করতে সক্ষম। বিহারের থেকে বাংলার মাটি অনেক বেশি উৎকর্ষ। সেখানে আমরা মনে করি বাংলা অনেক ভাল ফলাফল দেবে মিম-কে।তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি মানুষ বিকল্প চাইছে, বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে মিম। তবে এখনও আমরা কোনএ জোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিইনি। নিজেদের শক্তিকে সংহত করছি। কখনও কোনও জোটের বিষয়ে আলোচনা হলে, সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে এই মুহূর্তে আমরা কোনও জোটের আলোচনা কারও সঙ্গে করছি না। তবে মিম-এর এই বৈঠক নিয়ে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই মনে করছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতারা ৷ জেলা নেতা বিশ্বনাথ পাণ্ডব বলেন, যে কোনও রাজনৈতিক দল ভোটে দাঁড়াতে পারে। এটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করাটা অনুচিত। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষতি করতে পারবে বলে আমাদের মনে হয় না।এর কারণ মেদিনীপুরের মানুষ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন। তাঁর ভোট উন্নয়নের পক্ষেই দেবে। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন করেছেন, ভোট তাঁর পক্ষেই দেবে সকলে। ওঁদের কারণে আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।