শনিবার মালদায় জেপি নাড্ডা, এখনো সবুজ সঙ্কেত নয় ‘পরিবর্তন’ রথযাত্রায় ……

আগামীকাল মালদায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। দিল্লির কৃষক আন্দোলন  সারা দেশে বিজেপির কৃষক বন্ধু ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলেছে। ফলে এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যবাসীকে চমক দিতে  শনিবার পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে এখনও যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে।ঠিক ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে এভাবেই রথযাত্রা করার পরিকল্পনা নিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু সেবার আইন-আদালত করেও নাবন্নের অনুমতি না মেলায় শেষপর্যন্ত ভেস্তে যায় পরিকল্পনা। বিধানসভা ভোটের আগে সেই রথযাত্রাকেই ফের হাতিয়ার করেছে গেরুয়া শিবির। এবার রাজ্যে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে বদ্ধ পরিকর গেরুয়া শিবির। তবে শনিবার নাড্ডার রথযাত্রার অনুমতি এখনও দেয়নি জেলা প্রশাসন। তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নবদ্বীপে যে জনসভা করতে চাইছেন তার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে নদিয়া পুলিশ। কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ নাড্ডাজীর জনসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তিনি এখানে জনসভা করতে পারবেন, তবে তথাকথিত রথযাত্রার অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি।” এরাজ্যের ৫টি জোনে ৫টি পরিবর্তনের রথ বার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। শনিবার নূবদ্বীপে যার সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নদিয়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, নাড্ডার এই রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। এনিয়ে জেলা পুলিশ শুক্রবার বিজেপি শিবিরকে দুটি চিঠিও পাঠিয়েছে। যেখানে কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। শনিবার নবদ্বীপের ছাতির মাঠ এলাকায় নাড্ডার জনসভা রয়েছে। প্রথম চিঠিতে বিজেপি সভাপতির এই জনসভায় আইন-শৃ্ঙ্খলা বজায় রাখতে বিজেপির কাছে সহযোগিতার অনুরোধ করেছে নবদ্বীপ পুলিশ। অন্য চিঠিতে নদিয়া থেকে মুর্শাদাবাদে প্রস্তাবিত রথযাত্রার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে রথযাত্রা চলাকালীন কোথায় কোথায় বৈঠক হবে, কোথায় রাত্রে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য রথ থামবে, কত গাড়ি সংঙ্গে থাকবে, প্রতিদিন কতজন কর্মী যোগ দেবেন সেই নিয়ে বিস্তারিত জানাতে বিজেপিকে বলা হয়েছে। নবান্ন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল রথযাত্রা করতে গেলে স্থানীয় প্রশাসনের থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। অর্থাৎ এবার স্থানীয় প্রশাসনের কোর্টেই বল ঢেলে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার তৃণমূল যুক্তি দেখাচ্ছে,   নবদ্বীপে বিজেপির রথযাত্রায় অনুমতি দিতে অস্বীকার করেনি রাজ্য। শাসক শিবিরের দাবি, এনিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। এদিকে রাজ্য বিজেপির এই কর্মসূচিকে রুখতে পারবে না জেলা প্রশাসন, এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলায় বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা বলেছেন, ‘রথযাত্রায় স্থগিতাদেশ জারি করেনি আদালত। সুতরাং, জেলা প্রশাসন এটা আটকাতে পারবে না। বিরোধী দল হিসেবে এটা আমাদের মৌলিক অধিকার।  বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও দাবি করেন, রথযাত্রার জন্য তাঁরা তৈরি। সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর আবার দাবি, রথযাত্রা ঘিরে হিংসা ছড়ালে তার জন্য দায়ি থাকবে তৃণমূলই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রথযাত্রা বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু আমরা ৫টি রথ বার করবই।