কারোর সুরা সুধা কারোর কাছে আবার নিতান্তই নেশাসক্তদের একটি নিছক অভ্যাস । কিন্তু এই সুরার গুণ অপরিসীম । বিভিন্ন মারণ রোগের চিকিত্সায় সুপ্রাচীন কাল থেকে সারা পৃথিবীতে এর ব্যবহার
১৬৬৫ সাল থেকে এই অ্যালে বা ওয়াইনে বিভিন্ন কড়া ভেষজ মিশিয়ে বানানো হত ওষুধ । এই ওষুধ সাহায্য করত প্লেগের বিরুদ্ধে লড়াইতে । এই ককটেলের নামই হয় প্লেগ ওয়াটার । ইংল্যান্ডে শুরু হয় এই ওষুধের ব্যবহার কুইনাইনকে জল, চিনি, লেবু দিয়ে মিশিয়ে দেওয়া হত জিনে। এরপর ম্যালেরিয়া রোগীকে খাইয়ে দেওয়া হত সেই মিক্স । ১৯ শতক থেকে ভারতে শুরু হয় এর ব্যবহার ।
ব্র্যাম্ডির সঙ্গে জল মিশিয়ে খাওয়ানো হত কলেরা রোগের ওষুধ হিসেবে । মার্কিন যুক্তরাষ্টের ১৮৩২ সালে এর ব্যবহার শুরু হয় ।
রক অ্যান্ড রাই নামে জনপ্রিয় এই সুরা । রক ক্যান্ডি রাই হুইস্কিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা হত রোগ নিরাময়ে । আমেরিকায় যক্ষ্মার সঙ্গে লড়াই করত এই দাওয়াই । ১৮৭৭ সালে এর ব্যবহার শুরু হয় ।
অ্যাবসিন্থে নামের মদ আবার ব্যবহার হত ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইতে । ফরাসি ও সুইস ট্রুপ এটা ব্যবহার করত । এটা রক ক্যান্ডি সরাসরি মেশানো হত রাই হুইস্কিতে । আর এর ব্যবহার হত অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে ।
করোনার বিরুদ্ধে অবশ্য এখনও মদের সরাসরি গুণের কথা জানা যায়নি কিন্তু যারা সুরাপান করেন তারা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে স্টে হোমের মন্ত্র মাথায় রেখে একটু মদ খেতেই পারেন ।