পাকিস্তানে কাতারাপুর সাহিব গুরুদ্বারার ক্ষতি হয়েছে। ভেঙেছে দুটি গম্বুজ। এবার সেই গুরুদ্বারা সারানোর জন্যে পারিস্তানকে উদ্যোগী হতে বলল ভারত।
সম্প্রতি প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিতে এই গম্বুজ দুটি ভেঙে পড়ে। এছাড়াও এই গুরুদ্বারের কিছু অংশ ক্ষতি হয়েছে। সেগুলিও মেরামত করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে এই পবিত্র স্থান ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেছে ভারত।
জানানো হয়েছে, এটা দু’দেশের মানুষেরই ধর্মবিশ্বাসের জায়গা। তাই এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ভারতের শিখ দর্শনার্থীদের জন্য এই কর্তারপুর সাহিবের দরজা খুলে দেওয়া হয়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ৪৪৯৫১ জন ভারত থেকে সেখানে গিয়েছেন।
শিখ ধর্মের প্রবক্তা গুরু নানক তাঁর শেষ জীবন এই গুরুদ্বারেই কাটিয়েছিলেন বলে কর্তারপুর সাহিব শিখদের কাছে সবথেকে পবিত্র গুরুদ্বার। তবে বর্তমানে এই যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের পরে গত ১৫ মার্চ থেকে এই যাত্রা বন্ধ করা হয়েছে। তাই গম্বুজ ভেঙে পড়লেও প্রাণের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।