[ad_1]
রাজ্যে দাঙ্গা লাগলে হিন্দু বাঙালিদের কে বাঁচাবে? শুক্রবার সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর তৃণমূলি গুন্ডা শেখ শাহজাহানের বাহিনীর হামলার পর এই প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা রাজ্যের বাইরে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিন সুকান্তবাবু আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে চিন্তার বিষয়, আগামী দিনে বাংলার ভবিষ্যৎ কী? ইডি – কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর যদি এভাবে হামলা হতে পারে তাহলে সাম্প্রদায়িক উসকানির জন্য যদি বাংলায় কোনও দাঙ্গা শুরু হয় হিন্দু বাধালিদেরকে কে বাঁচাবে? পুলিশ তো আসবে না। আমরা সেটা বুঝে গেছি’।
নিয়োগ দুর্নীতিসংক্রান্ত মামলাগুলি রাজ্যের বাইরে পাঠানোর দাবি তুলে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস একটা রণকৌশল তৈরি করেছে। কোথাও হার্মাদ বাহিনী দিয়ে, কোথাও রোহিঙ্গা দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে তারা কাজ করতে দেবে না। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির আদালতে গিয়ে বলা উচিত। এদের গ্রেফতার করে রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়া উচিত। রাজ্যের মধ্যে থাকলে তো আবার এই ধরণের আক্রমণ হতে পারে। সেজন্য মামলাগুলিকে রাজ্যের বাইরে স্থানান্তর করা উচিত’।
শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অনেক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক শ’ নারী – পুরুষ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় একাধিক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। এর পর গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ গাড়ি থামিয়ে ফের মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটো রিকশয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এর পর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়।
সন্দেশখালির ঘটনায় উদ্বিগ্ন সুকান্তবাবু শুক্রবার বলেছিলেন, ‘সন্দেশখালিতে প্রমাণ হয়ে গেল আমরা ঠিকই বলছিলাম। ওখানে শাহজাহানের মতো লোকেরা রোহিঙ্গাদেরকে বসিয়ে ভারতবিরোধী একটি শক্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য আছে। আজকে যেটা দেখলাম সেটা ট্রেলার। তৃণমূল কংগ্রেস এই হার্মাদ – জেহাদিদের হাতে গোটা রাজ্যটাকে ছেড়ে দিচ্ছে। আগামীদিনে বাংলার সব জায়গায় এরকম হবে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্য সরকার ভারতের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। সমস্ত ভারতবিরোধী কাজ পশ্চিমবঙ্গ থেকেই হচ্ছে এরকম একের পর এক দেখা যাচ্ছে’।