Home আপডেট মমতার মৌনতাই বলে দিচ্ছে সন্দেশখালির ঘটনায় কার মদত রয়েছে: অধীর

মমতার মৌনতাই বলে দিচ্ছে সন্দেশখালির ঘটনায় কার মদত রয়েছে: অধীর

মমতার মৌনতাই বলে দিচ্ছে সন্দেশখালির ঘটনায় কার মদত রয়েছে: অধীর

[ad_1]

সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তৃণমূলি গুন্ডা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি গিয়ে ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় জল গড়িয়েছে অনেক দূর। রাজ্যের সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খোদ রাজ্যপাল। দাবি উঠেছে NIA তদন্তের। সেই ঘটনার জন্য এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর দাবি, মমতার মৌনতাই প্রমাণ করছে তাঁর মদতেই এই হামলা।

সাংবাদিক বৈঠকে অধীরবাবু বলেন, ‘এতদিন রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা – কর্মী ও সাধারণ মানুষ তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সদস্যরাও তৃণমূলি দুর্বৃত্তদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজ্যের কাছে এটা অত্যন্ত লজ্জার অন্ধকারময় দিন।’

এর পরই অধীরবাবু প্রশ্ন করেন, ‘ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু বলছেন না কেন? এতেই প্রমাণিত হয় কাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে এই ঘটনা ঘটেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ররোচনা ছাড়া এই ঘটনা ঘটতে পারে না।’

শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অনেক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক শ’ নারী – পুরুষ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় একাধিক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। এর পর গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ গাড়ি থামিয়ে ফের মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটো রিকশয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এর পর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়।

এই ঘটনার পর রাজ্যপালকে পদক্ষেপ করাতে আহ্বান জানিয়ে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকরী। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেওয়া উচিত রাজ্যপালের।

এর পর জারি এক অডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, ‘যে ভয়াবহ ঘটনার খবর সন্দেশখালি থেকে পেয়েছি তা উদ্বেগজনক ও অগ্রহণযোগ্য। বর্বরতা ও তাণ্ডব বন্ধ করা গণতন্ত্রে যে কোনও সভ্য সরকারের দায়িত্ব। সরকার তার প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে সংবিধান তার পথে চলবে। রাজ্যপাল হিসাবে এই ঘটনায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে আমি আমার সমস্ত সাংবিধানিক অধিকার সংরক্ষিত রাখছি। পেশিশক্তির প্রদর্শন ও কাগুজে বাঘদের দিয়ে কদমতাল করিয়ে বাংলার মানুষের কোনও উপকার হবে না। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডারাজ শুধু মুর্খের স্বর্গে কাজ করে। বাংলা কোনও বানানা রিপাবলিক নয়। সরকারের তাদের পদক্ষেপ করা উচিত। ভোটপূর্ব এই হিংসা নিশ্চিতভাবে অবিলম্বে অবসান হওয়া উচিত। এই হিংসার দায় শুধুমাত্র বর্তায় সরকারের ওপর। সরকারের উচিত চোখ মেলে বাস্তবকে দেখা এবং যথাযথ পদক্ষেপ করা। নইলে তাদের এর ফল ভোগার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত’।

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here