[ad_1]
রাজ্যের আপত্তি খারিজ করে অবশেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে নেতাই যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। তবে অনুমতি মেলায় আবারও একবার শুভেন্দুর কাছে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। শুক্রবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। সেখানে তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলনেতাকে নেতাইয়ে যেতে দেওয়া উচিত, রাজ্যকে বলল হাইকোর্ট
হাইকোর্টের শর্ত অনুযায়ী, বিকেল ৫ টা থেকে ৬টার মধ্যে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী নিরাপত্তারক্ষী ও সীমিত লোক নিয়ে যেতে পারবেন। এদিকে, নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির তরফে আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি সেখানে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই কারণে আপত্তি জানায় রাজ্য সরকার। তবে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কমিটিকে বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে গোটা অনুষ্ঠানের ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, ১২ বছর ধরে এই স্মরণসভার আয়োজন করে আসছে নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি। শুভেন্দু অধিকারীকে আগে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানাত কমিটি। তবে দলবদল করার পর শুভেন্দুর উপর আগ্রহ হারিয়েছে কমিটি।
এদিন মামলার শুনানিতে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী জানান, নিহতদের দুজন এবং আহতদের সাতজনের পরিবার তাঁর সঙ্গে রয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁকে নেতাই যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি মন্তব্য করেন, তিনি চান না যে শহীদের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজনীতির রং লাগুক।
উল্লেখ্য, এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর মামলায় বিচারপতি বলেছিলেন, শহীদ স্মরণসভায় প্রত্যেকের যোগ দেওয়ার অধিকার রয়েছে। বিরোধী দলনেতা তার ব্যতিক্রম নন, তাঁর ক্ষেত্রেও অধিকার রয়েছে স্মরণসভায় যোগ দেওয়ার। সেক্ষেত্রে বিরোধী দল নেতাকে এক ঘণ্টা সময় না দিলে জটিলতা দেখা দিতে পারে বিচারপতি আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র শহীদ বেদীতে মাল্য দেওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাই যেতে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি। আর এবার সেখানে যাওয়ার অনুমতি পেলেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই সেখানে স্মরণসভায় গিয়ে বাধার মুখে পড়ছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবারও যাতে সমস্যা না হয় তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।