[ad_1]
রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ায় বেআইনি কয়লা খনির ছাদ ধসে ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার দুর্গাপুরো দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে এই দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি, কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর জন্য জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে খুনের মামলা হলে খনির ছাদ ধসে মৃত্যুর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খুনের FIR হওয়া উচিত।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘রানিগঞ্জে ৭ জন গরিব মানুষ বেআইনি কয়লা তুলতে গিয়ে চাপা পড়ে মারা গেল, কিন্তু সবাই চুপ। আমি চলে যাওয়ার পরে আসানসোলে একটা কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ৩ জন মারা গিয়েছিলেন। সেজন্য জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে জেল খাটিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে বাড়ি ছাড়া হতে হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট পাত্তা দেয়নি। রানিগঞ্জে ৭ জন ও জামুরিয়ায় ১ জন গরিব লোক মরে গেছে। আমি কয়েকদিনের মধ্যেই রানিগঞ্জের প্রত্যেকটি মৃতের পরিবারের কাছে আসছি। আমরা এটা ছাড়ব না। যদি জিতেনবাবুর আয়োজিত অনুষ্ঠানে ত্রুটি থাকলে রানিগঞ্জে বেআইনি খনির জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও খুনের FIR হওয়া উচিত’।
গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারির উদ্যোগে একটি কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তাঁর স্বামী তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অনুষ্ঠানের সূচনা করে শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চ ছাড়তেই সেখানে কম্বল নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যার জেরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। এই ঘটনায় জিতেন্দ্র ও চৈতালির বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদনের শুনানির আগের রাতে দিল্লি লাগোয়া উত্তর প্রদেশ থেকে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।