আফগানিস্তানে তালিবান শাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই কাশ্মীর নিয়ে সন্দিহান ছিল ভারত। তলিবান কাশ্মীরকে কী চোখে দেখবে সেই নিয়ে জল্পনা ছিল। তবে এই প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থানেই সায় দিল তালিবান। মঙ্গলবার রাতে কাবুলে সাংবাদিক বৈঠকে তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ বলেন, ‘‘কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাশ্মীরে আমাদের কোনও নজর নেই।’’
স্পষ্টতই এ ক্ষেত্রে জবিউল্লা ‘দু’পক্ষ’ বলে ভারত এবং পাকিস্তানকেই বোঝাতে চেয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা এখন কারও সঙ্গে শত্রুতার সম্পর্ক তৈরি করতে চাই না।’’
প্রায় আড়াই দশক পরে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর তালিবান নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষায় সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতের সাংবাদিক বৈঠক এ ক্ষেত্রে তাদের ‘গুরুত্বপূর্ণ বার্তা’ বলে মনে করা হচ্ছে। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকের একাংশের মতে জবিউল্লার মন্তব্যে স্পষ্ট, তালিবান আর আফগানিস্তানকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর’ তকমা দিতে রাজি নয়।
জবিউল্লা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের জমিকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। একই ভাবে কুড়ি বছর আগের অতি কট্টরপন্থার লাইন থেকে কিছুটা সরে আসারও বার্তা দিয়েছে তারা। শরিয়া আইন মেনে মহিলারা বাড়ির বাইরের কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন জবিউল্লা।