[ad_1]
চা বাগানের নিজস্ব একটা নিয়ম রয়েছে। যে নিয়ম মোতাবেক ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই চা পাতা তোলার কাজ শেষ হয়ে যায় চা বাগানে। সেই ইংরেজ আমল থেকেই উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলিতে এটাই একটা নিয়ম। সেই নিয়ম অনুসারেই কাজ করা হত এতদিন। তবে এবার সেই নিয়মের ক্ষেত্রে কিছুটা বদল হতে পারে। আগামী ১৫ জানুয়ারি এনিয়ে মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন একটা নিয়ম হতে পারে। সেই নিয়ম অনুসারে নভেম্বরের শেষেই পাতা তোলা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে ভারতীয় চা পর্ষদের সেই মিটিংয়ে সব পক্ষ একমত হতে পারে কি না সেটাই দেখার।
নতুন নিয়ম যদি কার্যকরী হয় তবে ৩০ নভেম্বরের পর থেকে আর পাতা তোলা হবে না। এরপর আবার যখন বসন্তকাল আসবে তখন বাগানে নতুন পাতা আসবে। তখন আবার পাতা তোলার কাজ করা হবে।
মানে সহজ করে বলতে গেলে চা বাগানে শীতকাল মানে একেবারে শুনশান বাগান। চা পাতা তোলার কাজ বন্ধ। চা ফ্যাক্টরির কাজও বন্ধ থাকে। তবে সেটা সাধারণত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়। এই সময়কালকেই চা বাগানের শীতকাল বলে উল্লেখ করা হয়। মানে চা বাগানের শুখাকাল। আর সেই শুখাকাল এবার এগিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অর্থাৎ নভেম্বরের শেষ থেকেই চা পাতা তোলার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। তবে বাস্তবে এটা করতে গেলে বছরের প্রথম থেকেই তার তোড়জোড় শুরু করতে হবে। মানে আচমকা এটা লাগু করা যাবে না। সব পক্ষের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলতে হবে। এক্ষেত্রে কতদিন ধরে বাগানে এই শুখা মরশুম হবে সেটা নির্দিষ্টভাবে ঠিক করতে হবে। বাগানের শ্রমিকদের উপর এর কোনও প্রভাব পড়বে কি না সেটাও দেখা হবে।
তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি ডিসেম্বর মাসে চা পাতা তোলার কাজ না হলে সেটা খুব একটা ক্ষতির হবে না। কারণ ডিসেম্বর মাসে চা পাতার মান খুব একটা ভালো থাকে না। কনফেডারেশন অফ স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় থাকা চা চাষি সহ বিভিন্ন চা শ্রমিক সংগঠনের অন্দরেও এনিয়ে চর্চা চলছে পুরোদমে।