[ad_1]
প্রতি বছরের মতো দুর্গাপুজোর শেষ হতেই রাজ্যজুড়ে বিজয়া সম্মিলনী করছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ব্লক থেকে শহর জুড়ে চলছে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী। তাতে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। আর এবার দলের এই অনুষ্ঠানে পুলিশের উর্দি পরে সংবর্ধনা গ্রহণ করলেন একজন ওসি। তাই নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। যদিও তাতে বিশেষ আমল দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে অভিনব বিজয়া সম্মিলনী, তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনো কর্মীদের সম্বর্ধনা
জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় দলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির হয়েছিলেন চোপড়া থানার আইসি সঞ্জয় দাস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমান। তাঁর উপস্থিতিতে পুলিশের ওসিকে দলের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঘটনাক্রমে সেই সময় পুলিশের উর্দি পড়েছিলেন ওসি সঞ্জয় দাস। তা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, বিজয়া সম্মিলনী হল দলের অনুষ্ঠান। সেখানে একজন পুলিশ আধিকারিকের পুলিশের পোশাক পরে সংবর্ধনা গ্রহণ করা মোটেই উচিত হয়নি।
শুধু তাই নয় বিজেপির আরও অভিযোগ তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল সেই মঞ্চে অনেক নামজাদা মফিয়ারাও ছিল। তাদের সঙ্গে আলিঙ্গন করতে দেখা গিয়েছে পুলিশ অফিসারকে। অথচ চোপড়ায় অশান্তির কারণ হল এই মাফিয়ারা। এই বিষয়টিকে মোটেই ভালো চোখে দেখছে না বিজেপি। এ নিয়ে পালটা বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, বিরোধিরা এরকম বলে থাকে। আসলে গোটা রাজ্যেই তৃণমূলের প্রভাব রয়েছে। বিজেপি কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। তারা মাটি হারাচ্ছে এখানে। তৃণমূল ছাড়া আর কেউ নেই। তাই তারা এরকম কথা বলছে।
প্রসঙ্গত, এবছর তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী শুরু হয়েছে ২ নভেম্বর থেকে এবং তা চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিটি জেলায় অঞ্চল ভিত্তিতে বিজয়া সম্মিলনী করা হচ্ছে। এই বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের আগামী লোকসভা ভোটের বার্তা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলায় ১২ টি বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিজয়া সম্মিলনীর পাশাপাশি নভেম্বর মাসেই লোকসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। সম্প্রতি, একের পর এক দুর্নীতিতে বিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস এই অবস্থায় দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন দলের নেতৃত্ব।