[ad_1]
শিলিগুড়ি: ভাবছেন ফুচকা খেতে হবে, তাও আবার তাতে বেগুন পোড়া ভরে? যে ফুচকার নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। সেই ফুচকার ভেতরে থাকবে বেগুন পোড়ার পুর? ফুচকায় বিভিন্ন পুর ভরে বিক্রি করার চল বেশ কয়েকদিন হল শুরু হয়েছে। দই ফুচকা, চাটনি ফুচকা এই সবকিছুই মানুষের কাছে একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছিল। তাই চিকেন ফুচকা থেকে শুরু করে আচার ফুচকা, সব কিছুই ধীরে ধীরে বাজারে এল। কিন্তু এই সব কিছুকে ছাপিয়ে বাজারে এসেছে পোড়া বেগুনের পুর দেওয়া ফুচকা। যে ফুচকাকে ভানু বাবু নাম দিয়েছেন ‘সুগার ফ্রি ফুচকা’।
অনেকেই সুগারের জন্য ফুচকা খেতে পারেন না। কারণ ফুচকার মূল উপকরণ আলু। আর সুগার রোগীদের আলু খাওয়া বারণ। তাই আলুর বদলে বেগুন পোড়া দিয়ে ফুচকা খাইয়ে চমক ভানুদার।
আরও পড়ুনঃ এখনই জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন নেই, চিকিৎসকদের বয়ানে আরও বড় ফ্যাসাদে অনুব্রত মণ্ডল
সকলের প্রিয় ভানুদা জানিয়েছেন, তাঁর দোকানে প্রচুর লোক আসেন যাঁরা এসে বলে ছেলে বা নাতি নাতনির জন্য নিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু নিজের জন্য কখনও নিয়ে যায় না। তারপর হঠাৎ জিজ্ঞেস করায় তখন বলেন ‘আমার তো সুগার আলু খাওয়া যাবে না তাই ফুচকা খাই না’। সেই থেকেই বুদ্ধি খাটিয়ে ভানুদা বেগুন পুড়িয়ে, ছোলা, পেঁয়াজ, ধনেপাতা দিয়ে মুখরোচক ফুচকার পুর বানিয়ে মানুষকে খাওয়াচ্ছেন। আর তা খেতেই দূর-দূরান্ত থেকে লোক ছুটে আসছে তার দোকানে।
ফুচকা খেতে আসা সুরজিৎ বৈদ্য জানান, “অসাধারণ একটি জিনিস তিনি তৈরি করেছেন। আসলে ফুচকা খেতে সকলেরই ভীষণ পছন্দ। কিন্তু অনেকেই বিশেষত সুগার রোগীরা আলুর জন্য ফুচকা খেতে পারে না। তাদের জন্য দারুন সুযোগ ভানুদার এই ফুচকা। অসাধারণ খেতে বেগুন পোড়া ফুচকা। স্বাদ না খেলে মানুষেরা বুঝবে না। তাই সকলকে বলব একবার হলেও বাইপাসের ধরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পাশে ভানুদার দোকানে ফুচকা খেয়ে যেতে।”
অনির্বাণ রায়
আপনার শহর থেকে (শিলিগুড়ি)
Tags: Fuchka, Siliguri