[ad_1]
বামনহাট: গ্রাম্য পরিবেশে এবং গ্রাম্য পরিবেশের মেলায় নানান ধরতে মিষ্টির সম্ভার দেখতে পাওয়ায় যায়। তবে এই মিষ্টি গুলি শহরের মিষ্টির চাইতে কিছুটা হলেও আলাদা। এই মিষ্টি গুলি খেতে যেমন সুস্বাদু, দেখতেও তেমনই দারুন আকর্ষণীয়। কোচবিহারের বামনহাট মধাইখাল কালী পুজোর মেলাতে এমনই একটি মিষ্টি পাওয়া যাচ্ছে। এই মিষ্টি দেখতে নিমকির মতো। তবে খেতে সম্পূর্ন খুর্মার মতন।
রঙ বেরঙের এই মিষ্টি খেতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমাচ্ছেন মেলায় আসা মানুষেরা। অনেকে আবার বাড়ির জন্য কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন। ১২০ টাকা কেজি দরের এই মিষ্টি সমস্ত মানুষের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ইতিমধ্যেই। মিষ্টির দোকানের মালিক মনীন্দ্র সাহা বলেন, “দীর্ঘ প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর ধরে দোকান চলছে। বাবা এক সময় দোকান করতেন। পারিবারিক সূত্রে এই দোকান চলছে দীর্ঘদিন ধরে। দিনহাটা মহকুমার আটিয়াবাড়ি এলাকায় স্থায়ী দোকান রয়েছে। তবে জেলার বিভিন্ন মেলাতেও দোকান দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ দিঘা-মন্দারমণি নয়, তৈরি হল নয়া ‘টুরিস্ট ডেস্টিনেশন’, সপ্তাহান্তে অবশ্যই ঘুরে আসুন
বহু মানুষ এই মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করেন। কারণ এই মিষ্টি বহুদিন পর্যন্ত রেখে খাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া চায়ের সাথে কিংবা শুধু ও এই মিষ্টি খেতে দারুন লাগে। ১২০ টাকা কেজি দরে এই মিষ্টি বিক্রি করা হচ্ছে বর্তমান সময়ে। মেলায় আগত মানুষেরা এই মিষ্টি কিনছেন প্রচুর পরিমাণে।” তবে নতুন ধরনের এই মিষ্টি সকলের খুব পছন্দ হবে এটা নিঃসন্দেহে বলা সম্ভব। কারণ এই মিষ্টি যত খাবেন ততই আরও বেশি করে খেতে ইচ্ছে করবে।
মিষ্টি প্রস্তুতকারক প্রেমকান্ত বর্মন জানান, “এই মিষ্টি তৈরি করা খুবই সহজ। এবং অন্যান্য মিষ্টির চেয়ে বেশি সময় ধরে রেখে খাওয়া যায়। সাধারণ ভাবে নিমকি যেভাবে তৈরি করা হয়। ঠিক সেই ভাবেই নিমকি তৈরি করা হচ্ছে। তারপর সেই নিমকি চিনির শিরায় ডুবিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এবার সেই চিনির শিরায় মাখানো নিমকি ঠান্ডা হয়ে শুকিয়ে এলে বিক্রির জন্য প্রস্তুত হয়ে যাচ্ছে নিমকি খুর্মা। তবে ডায়াবেটিস এর রোগীদের জন্য এই মিষ্টি খাওয়ায় কোন উপায় নেই। কারণ এই মিষ্টি এখনও সুগার ফ্রি বানানো সম্ভব হয়নি।”
Sarthak Pandit
Tags: Cooch behar, Sweet