ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ বিশ্বকে কোন সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিলো? দুভাগে ভাগ হল পৃথিবী। এই যুদ্ধে কী ঢালবে যুক্তরাষ্ট্র? কারা দাঁড়ালো ইসরায়েলের পাশে? হামাসকে নিয়ে নিন্দার ঝড় তুললো কারা? এই যুদ্ধের শেষ কোথায়?রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের থেকেও কী ভয়ঙ্কর পরিণতি?পরিস্থিতি আউট অফ কন্ট্রোল? রিস্ক বাড়ছে আকাশ, জল, স্থল। তিন পথেই ইজ়রায়েলকে অ্যাটাক প্যালেস্টাইন জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইজ়রায়েলি সেনাও। ইজরায়েলকে শেষ করতে হামাস অপারেশন আল আকসা ফ্লাড ঘোষণা করেছে। এর পাল্টা অভিযান ‘অপারেশন আয়রন সোর্ডস’ শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা। সাধারণ মানুষ, সেনা, জঙ্গি। মৃত্যুমিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ আহত, বন্দী ও প্রচুর। সময়ের সাথে সাথে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ছে।
বন্ধু ইজরায়েলের এমন পরিস্থিতিতে দিল্লি সাথ দিয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমরা ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াচ্ছি, জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু ভারত নয়, আরো অনেক দেশ ইজরাইলের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করেও দুভাগে ভাগ হলো দুনিয়া। জানাই ছিল আমেরিকা পরম মিত্র ইজরায়েলকে ঢেলে সাহায্য করবে। হলোও তাই, হামাসের হামলা থেকে বাঁচতে ইসরায়েলের যা যা প্রয়োজন সবই দেবে বাইডেনের দেশ। জানিয়ে দিয়েছে ইইউ ইসরায়েলের ওপর হামাসের এই হামলার তারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সৌদি আরব এই সংঘাত অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলা হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্স। প্যারিস জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতি তাদের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সংঘাত, উত্তেজনা রুখতে, আরব ইসরায়েলি শান্তি প্রক্রিয়া ফের চালু’র তাগিদ আমিরাতের। উপসাগরীয় দেশ ওমান উভয়পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনরক্ষাই তাদের কাছে ফার্স্ট প্রায়োরিটি।
আরও একটা ভয়ঙ্কর যুদ্ধের মুখোমুখি বিশ্ব। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ দেখে পুরোটা আঁচ করেই ভয়ে কাঁপছে দেশগুলো। কারণ দুটো দেশ নয়, দুটো দেশের যুদ্ধে এফেক্টেড হয় গোটা পৃথিবী। মিশর তো বলছে, ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ ‘মারাত্মক পরিণতি’ তৈরি করবে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাবে এমন আগ্রাসী কার্যকলাপ থেকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।পুতিন ও সেই রাস্তাতেই হেঁটেছেন। যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, বেলজিয়াম হামাসের হামলার তীব্র নিন্দায় সরব। তবে, ইরান কিন্তু প্যালেস্টাইন এর পাশে দাঁড়িয়েছে। কাতার ও প্যালেস্টাইনকেই সাপোর্ট করেছে। যদিও, ইসরায়েল-প্যালেস্টাইনকে সংঘাত না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ ও। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসেছে। কিন্তু পরিস্থিতি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, তাতে শুধুমাত্র আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত এড়িয়ে শান্তি ফেরানো কতটা সম্ভব? আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল বলছে এমনই উত্তেজনাময় পরিস্থিতি ২০২২ এও তৈরি হয়েছিল কিন্তু, এবারের যুদ্ধ? সিচুয়েশন কী আউট অফ কন্ট্রোল? এমন কোনও কিছু হবে কিনা তার কোনও খবর পাওয়া যায়নি রাশিয়ার যুদ্ধে গোটা বিশ্ব এফেক্টেড, ভারত কিন্তু পুরোটা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ডিল করেছিল বা করছে!এবার কী হবে? সেই বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ? এই যুদ্ধ বিশ্বের জন্য কত বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে আন্দাজ করতে পারছেন?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়