রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী মাঝেমধ্যেই বেফাঁস মন্তব্য করে থাকেন। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি বারবার তোলপাড় হয়েছে। সেখানে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে সব দলই নেমে পড়েছে রাজনীতির ময়দানে। সেখান থেকেই উঠছে বাক্যবাণের ফোয়ারা। এমন আবহে এবার সরাসরি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আক্রমণ করে বসলেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। এমনকী আক্রমণ থেকে হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন তিনি। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ সরাসরি সুকান্ত মজুমদারের জামাকাপড় মানুষ খুলে নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। তখন সেই অবস্থায় তাঁকে কলাপাতা পরে বাড়ি ফিরতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার শুধু বিজেপির রাজ্য সভাপতি নন। তিনি বালুরঘাটের সাংসদও। তাই তাঁকে নিয়ে এমন মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছেন উদয়ন গুহ। বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা জবাব দিয়ে সজল ঘোষের কটাক্ষ, ‘বুড়ো বয়সে ভীমরতি হয়েছে ওঁর।’ সুতরাং কুকথার লড়াই রাজ্য–রাজনীতিকে সরগরম করে তুলেছে।
ঠিক কী বলেছেন উদয়ন গুহ? উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। ক্ষোভ উগড়ে দিতে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে কুকথা। উদয়ন গুহ বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদারকে বলছি, নিরাপত্তারক্ষী না নিয়ে রাস্তায় বের হন। তখন বাংলার সাধারণ মানুষ জামাকাপড় খুলে নেবে। আর কলাপাতা পরে বাড়ি ফিরতে হবে।’ তবে এই মন্তব্যের পিছনে একটা কারণ আছে। আসলে সম্প্রতি কোচবিহারে দাঁড়িয়ে উদয়নকে হুমকি দিয়ে সুকান্ত মজুমদারও বলেছিলেন, ‘নিরাপত্তারক্ষী না থাকলে ১৫ মিনিটে শেষ উদয়ন।’ সেটারই পাল্টা এভাবে দিলেন উদয়ন গুহ।
ঠিক কী বলছে বিজেপি? এই মন্তব্য নিয়ে এবার আসরে নেমে পড়েছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি পাল্টা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘রাজনীতিতে কুকথার আমদানি করেছে তৃণমূল। এটা ওদের সংস্কৃতি। বাংলার মানুষ এই ধরনের কথা ভালভাবে নিচ্ছে না। বাবার পরিচয় ছিল বলে করে–কম্মে খাচ্ছে। ওঁর বাবার নাম বদনাম করেছে। বুড়ো বয়সে ভীমরতি হয়েছে। সুকান্ত একা নন। রাস্তাঘাটে সবাইকে বের হতে হয়। রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তা, কলকাতার রাস্তাতেও সবাইকে হাঁটতে হয়। পতাকা ছেড়ে ওঁর জেতার ক্ষমতা ছিল না। পুলিশ ছাড়া রাস্তায় নামুক তারপর বুঝব।’