WEB DESK:শাওনা পান্ডে । নামটা শুনেছেন কখনও? না, কোনও ভারতীয় নাগরিক নন। তবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত তো বটেই। ইনিই হতে চলেছেন ২০১৮-র নাসা স্পেস মিশনের সওয়ারি।
সুনিতা উইলিয়ামস, কল্পনা চাওলার পর এবার শাওনা পান্ডে। তৃতীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা হিসেবে মহাকাশ পাড়ি দিতে চলেছেন তিনি।
তবে শুধু মহাকাশচারীই নন। একাধিক গুনের অধিকারী শাওনা। তিনি একাধারে ওপেরা সিঙ্গার, লেখিকা, আন্তার্জাতিক তাইকোয়ান্ডু চ্যাম্পিয়নও বটে। এমনকি তিনি নাকি সামুদ্রিক সিলের সঙ্গে ট্রেনিংও নিয়েছেন। কী ভাবে পারেন এত কিছু সামলাতে? সাক্ষাৎকারে শাওনা বলেন, ‘‘যদি আপনি নিজের নেশা ও দায়িত্বকে গুরুত্ব দেন তাহলে দেখবেন কত কিছু কী সুন্দর ভাবে সম্ভব হয়ে উঠছে।’’
সত্যিই বোধহয় তাই। তাইতো সিটিজেন সায়েন্স অ্যাস্ট্রোনট প্রোগ্রামে তার মিশনের জন্য প্রায় ৩,২০০ জনকে পিছনে ফেলে নির্বাচিত হয়েছেন ৩২ বছরের শাওনা। ২০১৮ সালের মধ্যে বাকি ৮ জন মহাকাশচারীর সঙ্গে মহাকাশে পাড়ি দেবেন তিনি।
মেসোস্ফিয়ারের উচ্চস্তরে পোলার সাবওরবিটাল সায়েন্স প্রকল্পে অংশ হিসেবে মহাকাশে যাচ্ছেন শাওনা। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়েই গবেষণা করবে এই প্রকল্প। মূলত বায়ো-মেডিসিন ও মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করার পাশাপাশি মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে ফিজিওলজিক্যাল, হেলথ ও এনভয়ারমেন্টাল অবজার্ভেশন নিয়েও কাজ করবেন তিনি। এ ছাড়াও ফ্লোরিডার অ্যাকোরিয়াস স্পেস রিসার্চ ফেসিলিটিতে ১০০ দিন আন্ডারওয়াটার মিশন প্রজেক্ট পজিডন-এরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি।
১৯৮৪ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন রাকেশ শর্মা। ভারতীয়দের মধ্যে কেমন সম্ভাবনা দেখছেন শাওনা? বলেন, ‘‘মুম্বইতে এসে আমি লীলাবতি পোদার হাইস্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ওদের প্রশ্ন আমাকে অবাক করে দিয়েছে। মেডিক্যালের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সময় দেখেছি ওদের মধ্যে অনেক কিছু করতে চায়, কিন্তু কী ভাবে করবে তার কোনও দিশা পায় না। আমি ওদের বলবো বিজ্ঞান কী ভাবে প্রতি দিন এগোচ্ছে সেই বিষয় ওয়াকিবহাল থাকো, স্থিতিশীল চিন্তা ভাবনা করো ও বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখো।’’