চুঁচুড়া: তিতাসের হাত ধরে এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় সোনা জিতল ভারত।
চিনে ১৯ তম এশিয়ান গেমসে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল ফেভারিট হিসাবে গিয়েছিল। স্মৃতি মান্দানা, শেফালী বর্মা, জেমাইমা রডরিগেজ, হরমনপ্রিত কৌরদের মতো সিনিয়ার ভারতীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন বাংলার রিচা ঘোষ ও তিতাস সাধু।
অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিতাস। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে তিতাসের বোলিং ফিগার ছিল ৪-৬-২। চার ওভার বল করে ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট।
আরও পড়ুন- বাংলার তিতাসের আগুনে বোলিংয়েই সোনা জয় ভারতের,একাই ধসিয়ে দেন শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার
আর এশিয়ান গেমস ফাইনালে ৪-৬-৩। তিতাস চার ওভার বল করে ছয় রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন। তাঁর এই পারফরমেন্সে শ্রীলঙ্কার সোনা জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।
ভারত এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় সোনা জিতল। ভারতের সোনা জয় ও তিতাসের বোলিং পারফরমেন্সে খুশি তাঁর কোচ, পরিবারের সদস্যরা।
এই জয় যেমন ভারতকে সোনা এনে দিল তেমনই তিতাসের জায়গা সিনিয়র দলে পাকা করল। মত তাঁর কোচের।
তিতাসের বাবা রনদীপ সাধু জানালেন, তাঁর মেয়ে এশিয়ান গেমসের দলে সুযোগ পাবে বলে ভাবেনি। তিনি আরও বলেন, তিতাস বড় ম্যাচের ক্রিকেটার, সেটা আবার প্রমাণ হল।
এদিন ১১৭ রানের টার্গেট নিয়ে শ্রীলঙ্কা যেভাবে শুরু করেছিল তাতে ভারতীয় সমর্থকরা প্রমাদ গুনছিলেন। প্রথম ওভারে ১২ রান করে তারা। ফলে চাপ বাড়ে টিম ইন্ডিয়ার উপর।
তিতাস প্রথম ওভারে দুই উইকেট নেন। পরে শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেনকে ফিরিয়ে দলের উপর থেকে সেই চাপ কাটিয়ে দেন। বড় ম্যাচ হলেও নিজেকে শান্ত রেখে সঠিক লাইন লেন্থে বল করে যান তিতাস। আর তাতেই ভেঙে পরে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন আপ।
তিতাসের কোচ দেবদুলাল রায়চৌধুরী বলেন, আমরা আশা করেছিলাম তিতাস ভাল খেলবে। ফাইনাল খেলায় ছন্দে ছিল ও, এটাই বড় কথা। চাপের মুখে ও বরাবর স্বাভাবিক থাকতে পারে। এটাই ওর সব থেকে বড় গুণ।
সৈকত বিশ্বাস
Tags: Asian Games, Titas Sadhu