প্রসূতির গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার রানাঘাট শহরের এতটি নার্সিংহোমে। অভিযোগ, গর্ভস্থ শিশুর বেশ কয়েকদিন আগে মৃত্যু হলেও তা জানাননি দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক। সোমবার সেকথা জানা গেলে নার্সিংহোমে ভাঙচুর করেন প্রসূতির আত্মীয়রা। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
রানাঘাট পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পূজা রায় অন্তঃসত্ত্বা হলে শহরেরই একটি নার্সিং হোমের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলছিলেন তিনি। করিয়েছিলেন সমস্ত পরীক্ষা। সম্প্রতি গর্ভাবস্থার অষ্টম মাসে রোগিনীর পেটে ব্যথা শুরু হয়। এর পর রানাঘাট হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখান তিনি। আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানা যায় গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে গর্ভাবস্থার পঞ্চম মাসেই।
এর পর যে নার্সিংহোমে পূজাদেবীর চিকিৎসা চলছিল সেখানে যান পরিজনরা। নার্সিংহোম ও সেখানকার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান। খবর পেয়ে রানাঘাট থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরিবারের অভিযোগ, নার্সিং হোমের চিকিৎসক রোগীকে বারবার পরীক্ষা করলেও গর্ভস্থ শিশুর যে মৃত্যু হয়েছে সেকথা জানাননি। যার ফলে আজ প্রসূতির প্রাণ নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। সোমবার অস্ত্রোপচার করে মৃত শিশুটিকে গর্ভ থেকে বার করেন। প্রসূতির অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।