বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে চীনে কেন সেনাপ্রধান? বেজিংয়ের সঙ্গে নতুন কোনও চুক্তি হবে নাকি? যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ভিসা নীতির প্রয়োগ কবে করতে চলেছে? বাংলাদেশের সেনাপ্রধান চীন ঘুরে ভারতেও আসবেন সত্যি কি আটকানো গেল না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে? একসঙ্গে দুটো খবর মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ একটার সঙ্গে একটা ইন্টারলিঙ্ক কিনা সেটাই আসলে দেখার। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ চীনে পাড়ি দিয়েছেন কোনও বিশেষ কারণে, কিন্তু এরমাঝেই একটা খবর উঠে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগের ঘোষণা শিগগিরই হতে পারে।
কূটনৈতিক মহল বলছে এই অবস্থায় হঠাৎ বেজিংয়ে কেন সফর করলেন? বাংলাদেশের সেনাপ্রধান চীনে কি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কোনও বৈঠক হতে পারে তাঁর? আমেরিকা ঠিক কতটা উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান এই সফর ঘিরে? ২০২১ সালে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান দায়িত্ব পান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ জেনারেল আহমেদ এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরে কমিশন পান তিনি। তথ্য বলছে জেনারেল আহমেদ প্রথমে চীনে যাবেন তারপর সেখান থেকে ভারতে আসবেন তিনি। তাঁর এই সফরে ঠিক কী কী গুরুত্ব রয়েছে সেকথা জানাব আপনাদের তবে তার আগে জানুন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করা হবে। তবে যাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তকে ব্যক্তিগতভাবে তথ্য জানানো হবে।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান চীন সফরে যাবেন জেনেই কি ভারত তাঁকে আমন্ত্রণ জানাল দেশে। বাংলাদেশের সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে শফিউদ্দিন আহমেদ ২৩ সেপ্টেম্বর চীনের হ্যাংজো শহরে অনুষ্ঠিত ১৯তম এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনসহ বিভিন্ন গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস ইভেন্ট পর্যবেক্ষণ করবেন এ ছাড়া সেনাপ্রধান বিভিন্ন দেশের জাতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি-মহাসচিবের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন, তবে এর থেকে বেশি কোনও চুক্তি বা সামরিক ক্ষেত্রে কোনও আলোচনার আপডেট পাওয়া যায়নি, কিন্তু জেনারেল আহমেদের এই ভারত সফর মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভারতীয় সেনাপ্রধানের আমন্ত্রণে ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস চিফ’স কনক্লেভ (আইপিএসি) সম্মেলনে অংশ নেবেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। এই আইপিএসি সম্মেলনের লক্ষ্য মূলত বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলোর স্থলবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং পেশাদারি সম্পর্ক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা। এর মানে এখনও পর্যন্ত যা খবর উঠে এসেছে তাতে চীন বা ভারত কোনও দেশে গিয়েই যুক্তরাষ্ট্র সংক্রান্ত কোনও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়