বিশাখাপত্তনম: জীবনে বড় হওয়ার পথে নানা বাধা-বিপত্তি আসে। সেটা কাটিয়ে এগিয়ে চলাটা জরুরি। কিন্তু অনেকেই সেটা করতে ব্যর্থ হন। তবে আজ এমন এক জনের গল্প বলা যাক, যিনি পর্বতসম বাধা পেরিয়ে আজ সফল হয়েছেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের আনাকাপল্লি জেলার রবিকামতম মণ্ডলের কোঠাকোটা গ্রামের চন্দ্রমৌলির জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল একটি দুর্ঘটনার পরে। সেই সময়ই ভাগ্যকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিনি। বাবা ভিতরমনা এক জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং মা সত্যবতী বোদ্দেপল্লির সেন্ট অ্যানস স্কুলের শিক্ষিকা। মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্যই বি.টেক সম্পন্ন করেছিলেন।
আরও পড়ুন:মহিলাদের জন্য চাকরির সুবর্ণ সুযোগ! জারি হল অঙ্গনওয়াড়িতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি
তবে একটা দুর্ঘটনাতেই স্বপ্ন যেন মুহূর্তের জন্য চুরমার হয়ে গিয়েছিল। বাড়ির কাছেই এক জায়গায় বৈদ্যুতিক শক খান ওই তরুণ। ওই গুরুতর দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেলেও অসাড় হয়ে গিয়েছিল তাঁর হাত-পা। আসলে তাঁর জীবন বাঁচাতে হাত-পা বাদ দিতে হয়েছিল। তবে চন্দ্রমৌলির জীবনটা বিছানাতেই সীমাবদ্ধ হয়ে থেকে যায়। প্রথম দিকে ভেবেছিলেন, এই ভাবে জীবনটা একেবারে শেষ হয়ে গেল। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে যায় আত্মবিশ্বাসটাও। কিন্তু বন্ধুদের উৎসাহ এবং মা-বাবার অনুপ্রেরণায় ফের আত্মবিশ্বাস অর্জন করেন ওই তরুণ।
বরাবরই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন চন্দ্রমৌলি। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে যাওয়ার জেরে সেই স্বপ্ন ভুলে বন্ধুদের পরামর্শে এলএলবি করেন। এর পর ক্যাট প্রবেশিকা পরীক্ষাতে দারুন ফল করেন। এখানেই শেষ নয়, দেশের শীর্ষ বিজনেস স্কুল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) আহমেদাবাদে পড়ার সুযোগ পান। আর এভাবেই তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস ও অধ্যবসায় থাকলে যে কোনও কিছু অর্জন করা যায়।
চন্দ্রমৌলি বলেন যে, বর্তমানে তিনি বাড়ি থেকেই কোর্সটি করছেন। আইআইএম আহমেদাবাদে পড়ার সুযোগ পাওয়ার কথা ই-মেল মারফত জানতে পেরেছিলেন। এই পাঠ্যক্রম শেষ করে এখন এমবিএ ডিগ্রি নিয়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপক পদে চাকরির স্বপ্ন দেখছেন ওই তরুণ।
Tags: Ahmedabad