ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রথম দল হিসাবে প্রার্থী ঘোষণা করল সিপিএম। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, ভাওয়াইয়া সঙ্গীত শিল্পী ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে প্রার্থী ঘোষণা করল দল। বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুতে ওই আসনটি খালি হয়। গত ৮ আগস্ট ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সেখানে ভোটগ্রহণ এবং ৮ সেপ্টেম্বর ফলপ্রকাশ।
ধূপগুড়িতে রাজবংশী ভোট একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সব দলই সেদিকে তাকিয়ে প্রার্থী দিয়ে দেয়। প্রয়াত বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ও রাজবংশী সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। সিপিএমও প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজবংশী সম্প্রদায়ের ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে বেছে নিয়েছে।
এই ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী দিচ্ছে না আগেই জানিয়ে দিয়েছে। তারা সিপিএম প্রার্থীকেই সমর্থন করবে।
তাই ধূপগুড়িতে বাম-কংগ্রেস জোট হিসাবেই উপনির্বাচনে লড়াই করবে। এই জোট ছিল ২০১৬ সালেও। সে বার সিপিএম প্রার্থী মমতা রায় পেয়েছিলেন ৩৪.২৬ শতাংশ ভোট। ৪৪ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়ে জেতেন তৃণমূল প্রার্থী মিতালি পায়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন থেকে এই ছবির বদল হতে শুরু করে। ২০২১ সালে ৪৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জেতেন বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায়। ৪৩.৭৫ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে যান তৃণমূলের মিতালি রায়। বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী প্রদীপকুমার রায়ের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
(পড়তে পারেন। সতেরোয় পাঁচ, নন্দীগ্রামে হাল আরও খারাপ হল তৃণমূলের)
এ বার ছবিটা বদলের আশায় সিপিএম। কিন্তু ২০২১-এ জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া জোট পালে হাওয়া পেয়ে কি আবার প্রথমে চলে আসবে? তেমনটা হওয়া নিয়ে নিয়ে সন্দিহান সকলেই। কারণ ধুপগুড়িতে গেরুয়া শিবিরের পালে হাওয়া হালকা হয়েছে তেমনটা বলা যায় না। আবার শাসকদল যে বিজেপির ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফলছে তা পঞ্চায়েত ভোটের ফলেই স্পষ্ট।
(পড়তে পারেন। ভাঙড়ে তৈরি হবে গোয়েন্দা কার্যালয়, মহিলা থানা, পরিকল্পনা কলকাতা পুলিশের)
১৭ আগস্ট ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার ৬ দিন আগে সবার প্রথমে প্রার্থী ঘোষণা করে সিপিএম বোঝাতে চাইল তারাও কোমর বেঁধে লড়াই করতে প্রস্তুত। অন্যদের থেকে আগেই। সর্বভারতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোট তৈরি হওয়ার পর থেকে সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজ্যে লড়াইটা কেমন হবে। ধূপগুড়ির লড়াই থেকে সেটা কর্মীদের কাছে পরিষ্কার করতে চায় উভয় দলই।