সম্প্রতি পায়ে চোট পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসা করিয়েছিলেন শহরের সুপার স্পেশালিটি সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএমে। তারপর নিজেই জানিয়েছিলেন তাঁর ভুল চিকিৎসা হয়েছে। এই মন্তব্য নিয়ে বিস্তর আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছিল। আবার কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এসএসকেএম হাসপাতালে রোগী ভর্তি করতে গিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। তখন মাঝরাত। সেই জলও অনেকদূর গড়িয়ে ছিল। তবে এবার সরাসরি পিজি অর্থাৎ এসএসকেএম হাসপাতালে জোরদার দালালি চলছে বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।
এদিকে কয়েক মাস আগে মাঝরাতে এসএসকেএম হাসপাতালে দাঁড়িয়ে কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্রকে বলতে শোনা গিয়েছিল, সে নো টু পিজি, আমি মদন মিত্র বলছি। এই ভাষাতেই উগড়ে দিয়েছিলেন ক্ষোভ। রোগী ভর্তি না করতে পেরে বেজায় চটেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য়েই এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে কথা বলেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে। এবার আবার সেই এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মদন মিত্র। তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুল চিকিৎসার প্রসঙ্গ। বিষোদগার করলেন হাসপাতালের দালাল রাজ নিয়ে।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক? এদিন এসএসকেএম হাসপাতাল নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেন কামারহাটির বিধায়ক। এক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মদন মিত্র বলেন, ‘এসএসকেএম হাসপাতাল নিঃসন্দেহে এখনও পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত হাসপাতালের মধ্যে মাথার মুকুট। তবে এই কথাটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই যে, মুখ্যমন্ত্রী যে জায়গায় চিকিৎসা ব্যবস্থাকে নিয়ে গিয়েছিলেন তার জেরে মানুষ হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু যাওয়া কমিয়ে দিয়েছিল। সেই মুখ্যমন্ত্রী কতটা কষ্ট পেলে এটা বলেন যে, আমি ভুল চিকিৎসার শিকার হলাম। এসএসকেএম হাসপাতাল আমার ভুল চিকিৎসা করেছে। তার জন্য ইনফেকশন।’
আরও পড়ুন: শুরু হতে চলেছে কলকাতা বইমেলা, এবারের থিম কান্ট্রি গ্রেট ব্রিটেন, কবে হচ্ছে মেলা?
তবে এই প্রসঙ্গ তুলে থেমে থাকেননি মদন মিত্র। এখানে বেড়ে গিয়েছে দালালদের দাপাদাপি বলে তাঁর দাবি। আর এই বিষয়ে মদন মিত্রের বক্তব্য, ‘এখানে কোনও হেলদোল নেই। পিজিতে এখনও ঢেলে দালালি চলছে। দালাল রাজের শিখর একেবারে মাটির তলা থেকে আকাশে পৌঁছেছে। এখন দালালরা এমনি টাকা নিচ্ছে না। অনলাইন পে, গুগল পে করে টাকা নিচ্ছে। গুগল পে’তে টাকা পাঠানো হচ্ছে। আমি অরূপকে ক্রেডিট দিই। ও খুবই মেথডিক্যাল। খুব চেষ্টা করেছে। ইউনিয়নবাজি বন্ধ করা, কাজ ফাঁকি দেওয়া বন্ধ করা থেকে শুরু করে সবকিছু। কিন্তু ও তো এফআরসিএস নয়। তাই ওর পক্ষে এটা বোঝা সম্ভব নয়।’