Home আপডেট বউকে সন্দেহ! পৈলানে পা কেটে, ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে মাটিতে পুঁতে দিল স্বামী

বউকে সন্দেহ! পৈলানে পা কেটে, ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে মাটিতে পুঁতে দিল স্বামী

বউকে সন্দেহ! পৈলানে পা কেটে, ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে মাটিতে পুঁতে দিল স্বামী

শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। বিষ্ণুপুর থানার পৈলানের কোণচৌকি গ্রামের ঘটনা। স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ। কিন্তু সেখানেও চূড়ান্ত পৈশাচিকতা। একেবারে ইঁট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে স্বামীর মাথা। এতেই নিরস্ত হননি ওই স্বামী। স্ত্রীর দুটো পা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তি পেশায় রাজমিস্ত্রি। কেন তিনি এভাবে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করলেন সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি এরপর সেই দেহ প্রমাণ লোপাটের জন্য পুঁতে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। মৃতের নাম মমতাজ বেগম। স্থানীয় একটি পুকুরের পাড় থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, অভিযুক্ত স্বামীর নাম আলিম। বছর দশেক আগে মমতাজকে বিয়ে করেছিলেন আলিম। এর আগেও তার একবার বিয়ে হয়েছিল। তার বাড়ি আদতে মুর্শিদাবাদে। সেখানে তার প্রথম পক্ষের বউ ছেলেমেয়েরা রয়েছে। আর পৈলানে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। কিন্তু কেন এই নৃশংস ঘটনা?

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারনা মমতাজ অন্য কারোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে কি না এনিয়ে তাকে সন্দেহ করত আলিম। এমনকী এই সন্দেহবাতিকতা তার এমন জায়গায় চলে গিয়েছিল যে মমতাজ ঠাকুরপুকুরের একটি কারখানায় কাজ করতেন। কারখানার কাজ শেষ হলে রোজ তাকে বাড়ি নিয়ে আসতেন আলিম। এমনকী কারখানায় কাজ করার সময়তেও ভিডিয়ো কল করে তিনি দেখে নিতেন সেখানে মমতাজ কাজ করছেন কি না।

বুধবার রাতে যথারীতি বাড়ি এসেছিলেন আলিম। কিন্তু মমতাজ নেই। প্রতিবেশীরা এনিয়ে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলেন, মমতাজের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছে। সেকারণে সে বাড়ি আসেনি। কিন্তু প্রতিবেশীদের এনিয়ে সন্দেহ হতে থাকে। তারা স্থানীয় বিষ্ণুপুর থানায় খবর দেন। সেখান থেকে পুলিশ আসে। এদিকে আলিমকে নিয়েই পুলিশ মমতাজের খোঁজ শুরু করে। এরপর আলিমের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনে দেখা যায় সেটা তার বাড়িতেই রয়েছে।

এরপর পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে সে। সে পুলিশকে জানায় বাড়ি ফেরার পথে ইট দিয়ে মেরে স্ত্রীকে খুন করেছিল সে। এরপর নির্জন মাঠে ঝোপের মধ্যে বডি রেখে দেয়। পরে গভীর রাতে গিয়ে সেই দেহ থেকে পা দুটোকে কেটে দেহটিকে মাটি চাপা দিয়ে দেয়। এরপরই আলিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ

এদিকে কারখানা থেকে ফেরার পথে স্ত্রীকে সাইকেল চাপানো শেখাত স্বামী। স্থানীয় একটি বাড়িতে সাইকেল রাখা থাকত। কিন্তু সেদিন সে আর সাইকেল নেয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here