বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় নাম লেখানোর কথা বলে বির্তক তৈরি করছিলেন বারাসতের তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে দল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের থেকে নেত্রীর বক্তব্য নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। নিজের মন্তব্যের জেরে দলেও কোণঠাসা হলেন রত্না বিশ্বাস।
রবিবার বারাসত সংসদীয় জেলা তৃণমূল একটি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ তৃণমূলের আরও অন্যান্য নেতারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রত্না বিশ্বাসও। কিন্তু মঞ্চে দেখা যায়নি সংসদীয় জেলার চেয়ারপার্সন রত্না বিশ্বাসকে । এমনকি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নও এদিন এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন মঞ্চ থেকে রত্নার বক্তব্য যে ভুল তা স্বীকার করে নেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ও ভুল করেছে। বোঝারও ভুল হয়েছে। বলারও একটু ভুল হয়েছে। ১৯৭১ অবধি যাঁরা এসেছেন (বাংলাদেশ থেকে ভারতে), তাঁদের একই পরিবারের কারও নাম থাকলেও অনেকের নেই। ও সেটাই বলতে চেয়েছে। ঠিক মতো বোঝাতে পারেনি।’ একই সঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমে কথা বলার বিষয়েও সতর্ক থাকতে বলেন।
প্রসঙ্গত, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানেই রত্না বিশ্বাস বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘জাকিরদার নির্বাচনী এলাকায় অনেক বাংলাদেশি লোক বসবাস করেন। জাকিরদা লিংকটা ভালো করতে পারেন। যদি লিংকে কোনও সমস্যা হয়, বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছেন তাদের ভোটার লিস্টে নাম তোলার কোনও সমস্যা হয়। জাকিরদা এই কাজটা ভালো করে দেবে। আপনারা সবাই এই অফিসে এসে যোগাযোগ করবেন। এই কাজটা অতি দ্রুত করবেন। কারণ আমরা চাই না একটা ভোটও বাইরে থাকুক।’
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তাপস মিত্র কটাক্ষ করে বলেন, ‘রত্নার বক্তব্যের পরই পরিষ্কার হয়েছে কীভাবে রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল। দলের গোপন অ্যাজেন্ডা প্রকাশ্যে বলার কারণেই মঞ্চে ঠাঁই হয়নি সংসদীয় জেলার চেয়ারপার্সনের।’