Home আপডেট ‘বীরভূমের বাঘের’ উপরই আস্থা মমতার, পদেই থাকলেন জেলবন্দি কেষ্ট, বকুনি খেলেন কাজল

‘বীরভূমের বাঘের’ উপরই আস্থা মমতার, পদেই থাকলেন জেলবন্দি কেষ্ট, বকুনি খেলেন কাজল

‘বীরভূমের বাঘের’ উপরই আস্থা মমতার, পদেই থাকলেন জেলবন্দি কেষ্ট, বকুনি খেলেন কাজল

গরু পাচার মামলায় এখনও জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তিহাড় জেলে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ ক্রমেই সামনে আসছে।  তবে শুক্রবার কালীঘাটে বীরভূমের সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন তিনি বীরভূমে দলের একাধিক নেতাকে সতর্ক করেছেন বলে খবর। তবে এদিন তিনি বগটুই নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তাঁর মতে ওদের জন্য কী কিছুই করিনি? 

এদিকে সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। সেক্ষেত্রে বীরভূমে একটা সময় দলের শেষ কথা ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। তার এখন রাত  কাটছে তিহাড় জেলে। মশার কামড়ে বিনিদ্র রাত কাটছে। তবে সেই অনুব্রত মণ্ডলকে অবশ্য় এখনও জেলা সভাপতির পদেই রেখে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। এদিকে সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, জেল থেকে বের হলে অনুব্রত মণ্ডলকে যেন বীরের সম্মান জানানো হয়। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলকে কার্যত বীরভূমের বাঘ বলে উল্লেখ করেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে সেই বাঘের উপরই এখনও ভরসা রাখল দল।

এদিকে বিরোধীদের দাবি তৃণমূল আসলে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভরসা পাচ্ছে না। সেকারণেই তারা অনুব্রতর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অনুব্রতকে পদ থেকে সরিয়ে দিলে তিনি নানা কথা ফাঁস করে দিতে পারেন। সেকারণে অনুব্রতকে তুষ্ট করে রাখতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। 

তবে এদিনের মিটিংয়ে অনুব্রতর উপরেই আস্থা রাখলেন তৃণমূল নেত্রী। কোর কমিটি তৈরি করা হলেও দলের জেলা শীর্ষ স্থানে এখনও রয়েছেন অনুব্রতই। তবে সার্বিকভাবে তৃণমূল নেত্রী নিজে অবশ্য বীরভূমের সংগঠন নিজেই দেখবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন। 

অন্য়দিকে সূত্রের খবর, বর্তমানে কেষ্ট বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্য বলে পরিচিত কাজল শেখ কোর কমিটির পদ পেয়েছেন। তাঁকে অবশ্য এদিন মমতা সতর্ক করে দেন বলে খবর। বার বার যেখানে সেখানে মুখ না খোলার ব্যাপারে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। দলের হয়ে যা বলার বলবেন বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। এমনটাই সূত্রের খবর। 

তবে মোটের উপর অনুব্রত যেখানেই থাকুন না কেন তাঁর উপরে এখনও আস্থাভাজন খোদ নেত্রী। এদিন সেই ইঙ্গিতও মিলেছে। অন্যদিকে বগটুই কাণ্ডের একবছর পরে দেখা গিয়েছে, অনেকেই তৃণমূলের পাশ থেকে সরে গিয়েছে। তা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছে দলের তরফে। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here